বর্তমানে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় অষ্টম শ্রেণির ষষ্ঠ পিরিয়ডের ক্লাস চলছিল। সেই সময় হঠাৎই একটি হনুমান ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ে এবং শিক্ষকের টেবিলের উপর বসে পড়ে। ছাত্ররা কিছু বোঝার আগেই হনুমান আচমকাই শিক্ষকের গালে আঁচড় মারে। মুহূর্তে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান তিনি। দ্রুত অন্যান্য শিক্ষকরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ মনতাজ আলী জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যালয়ের বটগাছটিতে প্রায় ৮-১০টি হনুমান দেখা যাচ্ছে। এর আগেও ক্লাস চলাকালীন হনুমান ঘুরে বেড়িয়েছে স্কুল প্রাঙ্গণে, তবে এমন মারাত্মক ঘটনা এই প্রথম। বিষয়টি বনদফতরকে জানান হবে বলেও জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকপাড়ায় এক হনুমান বেশ কিছুদিন ধরেই মানুষকে হেনস্থা করছে। তাকে ধরার চেষ্টা করলেও এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি।
এ বিষয়ে মানিকপাড়া রেঞ্জের বন আধিকারিক সব্যসাচী হাজরা জানান, স্কুলে হনুমানের আক্রমণের ঘটনাটি তাঁর জানা ছিল না। দ্রুত তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, বন দফতরের তরফে আর কোনও ব্যবস্থা নেই হনুমানগুলিকে অন্যত্র ফেরানোর ও নজরদারি রাখার দাবি জানিয়ে ক্ষোভ স্থানীয় মানুষের। স্কুলে আসা ছাত্রছাত্রী শিক্ষকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরাও আতঙ্কে স্কুলে আসছেন। এই বিষয়ে জেলা শাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, ‘ বিষয়টি নজরে আছে। তিনি বন দফতরকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
তন্ময় নন্দী