দেড়-দু দশক আগে সুতির সুতোয় মাঞ্জা দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। তখনকার দিনে, যেমন প্লাস্টিকের ঘুড়ির চল কম ছিল। তেমনই বর্তমান সময়ের মত রেডিমেড মাঞ্জা সুতো কেনার চল ছিল না। ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দ পেতে হলে হাতে মাঞ্জা সুতো আর এই মাঞ্জা সুতো মানেই নিজেদের হাতে তৈরি। মাঞ্জা তৈরি করতে প্রথমে মিহি করে কাঁচ গুড়িয়ে নিতে হবে। এরপর সাবু ইসুবগুল ভিজিয়ে আঁচে ফুঁটিয়ে আঠালো মাঞ্জা তৈরি করে কাঁচ গুঁড়ো মিশিয়ে। এবার আঠা সহ কাঁচের আঠার প্রলেপ দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: নদীর পাড়ে বিশাল আকৃতির কালচে হলুদ ওটা কী…! সমুদ্রের জীব কেন হাওড়ায়! তোলপাড়
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মাঞ্জা তৈরিতে তখন অনেক বেশি খাটুনি হলেও সুতো মাঞ্জা তৈরিকে কেন্দ্র করে পৌষ পার্বন বা ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব ছিল বেশি আনন্দের। ঘুড়ির উৎসব বেশি আনন্দের ছিল তেমন পরিবেশের পক্ষে ক্ষতির পরিমাণও ছিল কম আর সেই দিক গুরুত্ব রেখে। সে সময়ের মত হাতে তৈরি মাঞ্জা সুতো তৈরিতে ব্যস্ততা দেখা গেল হাওড়ার গঙ্গাধরপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন শিশু ও যুবককে। এদিন সকাল থেকে নিজে হাতে মাঞ্জা সুতো তৈরিতে ব্যস্ততা। এ প্রসঙ্গে যুবকরা জানান, এই মাঞ্জার তৈরিতে খাটুনি থাকলেও আনন্দ অনেক বেশি একইসঙ্গে পরিবেশের জন্যও ভাল।
রাকেশ মাইতি





