অক্সিডাইজ থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ হ্যান্ডমেড, সব ধরনের জুয়েলারিতেই মিলছে ইউনিক ডিজাইন আর হস্তশিল্পের ছোঁয়া। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ অঞ্চলের বড়কুলগাছি গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এখন এই হ্যান্ডমেড জুয়েলারি তৈরিতে নজির গড়ছেন। তাঁদের হাতে তৈরি গয়না উৎসবের মরশুমে পাড়ি দিচ্ছে লখনউ, মুম্বই, রাজস্থান, কেরল, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। গ্রামবাসী শম্পা মাঝি বলেন, “সোনার যা দাম তাতে সোনা কেনা এখন ব্যয়সাপেক্ষ। তবে আমাদের তৈরি এই হ্যাণ্ডমেড জুয়েলারির চাহিদা এখন বেশ ভাল। এই কাজ করে আমাদেরও রোজগার হয় ভালই।
advertisement
আরও পড়ুন : বাংলার বুকে ‘মিনি সাইবেরিয়া’! অচেনা বহু পাখির স্বর্গরাজ্য, পর্যটকদের নতুন ঠিকানা! টুক করে ঘুরে আসুন একদিন
গৃহস্থালির কাজের ফাঁকে গ্রামের মহিলারা নিজেদের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরছেন গয়নার মাধ্যমে।এই উদ্যোগের অন্যতম মুখ নির্মল মাঝি, বড়কুলগাছি গ্রামেরই বাসিন্দা। একসময় তিনি দিল্লিতে সোনা রুপোর কাজ করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে শহুরে কাজ ছেড়ে গ্রামে ফিরে এসে শুরু করেন হ্যান্ডমেড জুয়েলারি তৈরির কাজ। সেই দক্ষতা তিনি ভাগ করে নিয়েছেন গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে। এখন তাঁর হাত ধরে স্বনির্ভর হচ্ছেন বহু গৃহবধূ। নির্মল মাঝি বলেন, আমি এই কাজ বহু জনকেই শিখিয়েছি। এখন মহিলারাও রোজগার করছে আর আমাদের তৈরি এই গয়নার চাহিদাও বাড়ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
১০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা দামের গয়না আমরা তৈরি করি। কলকাতার দিকে অনেকটাই বেশি চাহিদা আছে। “বড়কুলগাছির গয়না গ্রাম ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে দেশের নানা প্রান্তে। শুধু সৌন্দর্য নয়, এই গয়নার মাধ্যমে জীবিকার পথও খুলে গেছে বহু পরিবারের। সবমিলিয়ে যেখানে সোনার গয়না হাতের নাগালের বাইরে, সেখানে গ্রামের মহিলাদের হাতের তৈরি হ্যান্ডমেড জুয়েলারিই হয়ে উঠেছে নতুন আশার আলো, নতুন রোজগারের রসদ।