নিজেরা গরম সহ্য করে অপরের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার কাজ করেন হাতপাখার কারিগরেরা। তবে আধুনিকতার যুগে অনেকাংশেই রুগ্ন হয়ে পড়েছে এই শিল্প। গরমের হাত থেকে বাঁচতে বাড়িতে ফ্যান, এসি, কুলার আসায় কদর কমেছে হাত পাখার। ফলে একরকম অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে এই শিল্প। মূল্যবৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই শিল্প। তবুও আশা নিয়েই পাখা তৈরি করে চলেছেন উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার হাতপাখা শিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: চেনা মাঠে অচেনা লড়াইয়ে সুজাতা, ভূমিকা বদল মেনে নেবে জনতা?
এক জন পাখা শিল্পী দিনে পাঁচ থেকে সাত হাজার পাখা প্রস্তুত করতে পারেন। তাঁদের মজুরি নির্ধারিত হয় কাজের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। তবে পাখা শিল্পীদের আক্ষেপ, দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর তাঁরা যে মজুরিটুকু পান তাতে ঠিক মত সংসার চলে না। তাঁদের আবেদন, এই পাখা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে যদি সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে খুব ভাল হয়। অতীতে এই হাত পাখার চাহিদা এতটাই ছিল যে জেলা ছাড়িয়ে বিহার, ওড়িশার মত প্রতিবেশীর রাজ্যগুলিতে ও পৌঁছে তো গোবরডাঙার হাতপাখা। তবে দিন বদলের ফলে এখন কোনওরকমে টিকে আছেন এই পাখা প্রস্তুতকারকরা।
রুদ্রনারায়ণ রায়