জানা যায়, ১৯১০ সালে জার্মানের ম্যাক্স গ্রেটেজ হ্যাজাক বাতির আবিষ্কার করেন। পিতল বা সিলভার দ্বারা তৈরি ওই বাতি কেরোসিন বা গ্যাসের ব্যবহার করে দেশলাইয়ের আগুন লাগানোর পর বায়ুর চাপের সাহায্যে উজ্জ্বল আলো ছড়ায়।
advertisement
বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু দোকানে এই হ্যাজাক লাইট বিক্রি করা হলেও তা সংখ্যায় অনেক কম। গ্রামীণ এলাকায় কোনও পুজো পার্বণ হলে অনেকেই এখনও ব্যবহার করে থাকেন এই হ্যাজাক। কিন্তু কালের নিয়মে আজ তা বিলুপ্তির পথে। আগে দৈনিক গড়ে ২০ থেকে ২৫টি বিক্রি করা হলেও বর্তমানে মাসে ২ থেকে ৩টি গড়ে বিক্রি হয়। যার দাম পড়ে প্রায় ৪৫০ টাকা।
জেলার প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, ‘বিয়ে-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে দোকান থেকে ভাড়ায় এনে জ্বালাতাম, হাট-বাজারে দোকানিরা জ্বালাত, কত সুন্দর আলো দিত! এখন আর কোথাও এ বাতি চোখে পড়ে না। কারণ বর্তমানে আলো ঝলমল রকমারি বিদ্যুৎ থাকার কারণে এই হ্যাজাকের সংখ্যা অনেকটাই কম’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একসময় হ্যাঁজাক লাইট ভাড়া দেওয়া ও মেরামত করার কাজে জড়িত থাকা ব্যবসায়ীরা জানান, ‘এ পেশার ভবিষ্যৎ না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ছেড়েছি কাজ, নিজের ছেলেকেও অন্য পেশায় দিয়েছি’। তবে বর্তমানে দোকানে রাখা থাকলেও মাঝে মাঝে অনেকজন আসেন এই হ্যাজাক লাইট ক্রয় করার জন্য।





