সেই সময়ের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপকার করেছিল। আজ তিনি না থাকলেও পিঙ্কি জীবন পরিবর্তনে তাঁর ভূমিকার কথা অস্বীকার করেন না। প্রায় ৯ বছর ধরে এভাবেই হাবরা অশোকনগর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় যাত্রী পরিষেবা দিয়ে আসছেন পিঙ্কি দত্ত। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিবারে রয়েছে বর, মেয়ে ও মা।
আরও পড়ুন- কত ‘ton’ এসি-তে কাশ্মীরের মতো বরফ ঠান্ডা হবে আপনার ঘর,কম হলেই বাড়বে বিল,গরমেও কাজ হবে না
advertisement
উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর আর হয়নি পড়াশোনা। তাই অল্প বয়সেই ২০০৬ সালে হয়ে যায় বিয়ে। এর পর আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না হওয়ায়, সাংসারিক জীবনেও সমস্যা তৈরি হয়। আসে সন্তান, একাধিক খরচ-সহ সংসারের খরচ চালাতে যখন পরিবারে টানাটানির পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই সময়ে নিজে কিছু করে দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের হাল ধরতে টোটোকেই হাতিয়ার করে রাস্তায় নেমে যাত্রী পরিষেবা দিতে শুরু করেন পিঙ্কি।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একজন মহিলা হয়ে টোটো চালাচ্ছেন, বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেনি কেউই। তাই ভেসে আসত নানা কটুক্তি। তবু নিজের পরিবারের ও সন্তানের কথা মাথায় রেখে, লড়াই চালিয়ে যান মহিলা টোটো চালক পিঙ্কি। বর্তমানে সন্তানের বয়স ১৪, তার মুখের দিকে তাকিয়েই আরও লড়াইয়ের শক্তি মেলে এই মায়ের।
আরও পড়ুন- এসি চলাকালীন সিলিং পাখাও চালান নিশ্চয়ই? কিন্তু স্পিড কততে রাখতে হবে জানেন? শিগগির পড়ুন
পিঙ্কির মিষ্টি স্বভাব ও ব্যবহারই আজ তাই এলাকার অন্য টোটোচালকদের থেকে তাঁকে আলাদা করে তুলেছে। এখন সকলেই সম্মান করেন তাঁকে, কোনওরকম সমস্যায় পড়লে সহ টোটোচালকরাই এগিয়ে আসেন সাহায্যের জন্য। কখনও মধ্যমগ্রাম, কখনও বারাসাত, এমনকী বনগাঁতেও যাত্রী পরিষেবা দিয়ে থাকেন এই মহিলা টোটো চালক পিঙ্কি দত্ত।
এছাড়া হাবরা তেতুলতলা রুট সহ অশোকনগরের নানা প্রান্তে প্রতিদিনই রাস্তায় চোখে পড়ে ছুটন্ত টোটো দিদির যাত্রী পরিষেবা। হাবরা পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ হাবরা এলাকার গোপাল কবিরাজের মোড়ে এলাকায় এসে টোটো দিদি পিঙ্কির কথা বললে যে কেউ চিনিয়ে দেবেন তার বাড়ি। স্বামী পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী, তবে টোটো চালিয়ে আজ সংসার অনেকটাই সচ্ছল বলে জানালেন পিঙ্কি।
Rudra Narayan Roy