এদিন আড়াই বছরের এক সন্তানকে ভর্তি করাতে এসে এমনই সমস্যার মুখোমুখি হলেন এক মা। তাঁর অভিযোগ, এই গরমে একটি বেডে তিনজনকে রাখা হলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে। তিনি এই নিয়ে হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। পাশাপাশি তিনি হাবরা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিশ তাঁকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে বলেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দখলদারি আর বরদাস্ত নয়! বড় পদক্ষেপ ট্রাফিক বিভাগের, অবৈধ দোকান ও পর্কিংয়ের দিন শেষ ‘এই’ এলাকায়
অভিযোগকারী মহিলার দাবি, তিনি পেশার কারণে মুম্বইতে থাকেন। কয়েকদিন আগে হাবরায় আসার পর থেকেই তাঁর শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে ভর্তি করতে বাধ্য হন। কিন্তু এখানে এসে তিনি দেখেন বেড সঙ্কট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শিশুর চিকিৎসার উপযুক্ত পরিবেশই নেই।
আরও পড়ুনঃ বাঁধানো নেই পুকুর পাড়, অকালে নাবালকের মর্মান্তিক পরিণতি! পৌরমাতার ‘দোষে’ কি তবে এমন ঘটনা!
হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টারও ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেছেন, শিশু বিভাগে মাত্র ২৯টি বেড রয়েছে। কিন্তু রোগীর চাপ এতটাই বেশি যে এক একটি বেডে দু’জন শিশু ও তাদের মায়েদের রাখা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে হাবরা পৌরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণ সাহা জানান, শিশুটির মা তাঁকেও ফোন করেছিলেন। কিন্তু হাবরা হাসপাতালে বেড ধারণক্ষমতার তুলনায় রোগীর চাপ সব সময় বেশি থাকে। শুধু হাবরা নয়, আশপাশের এলাকা থেকেও বহু রোগী এখানে আসেন। তবে খুব শীঘ্রই হাসপাতালের নতুন ভবন চালু হবে। সেখানে প্রায় ১০০টি নতুন বেড থাকছে। তারপর আর এই সমস্যা থাকবে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলায় জল জমার কারণে অন্যান্য রোগের পাশাপাশি জ্বর নিয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বহু রোগী। এমন পরিস্থিতিতে এই বেডের ঘাটতি চিকিৎসা পরিষেবায় কতটা আতঙ্ক সৃষ্টি করে এখন সেটাই দেখার।