মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের বালিয়া গ্রামের পবন মালাকার বংশ পরম্পরায় এই বাজি তৈরি করেন। জেলার পুরাতন বাজির কারিগর এই পরিবার। তবে গত দু’বছর ধরে গ্রিন বাজি তৈরি হলেও সেই ভাবে বিক্রি নেই। ফলে আগামীদিনে ভবিষ্যত প্রজন্ম আর এই ব্যবসায় আসতে চান না বলেই দাবি। তবে এই বছর ফুলঝুড়ি, চড়কি, রকেট ও হাতচড়কা বেশ নজর কাড়ছে। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এই বাজি বিক্রি হচ্ছে।
advertisement
কয়েক দিন পরেই দীপাবলি। আলোর উৎসব ঘিরে দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। ছোটদের মধ্যে চোখে পড়ছে বাজি ফাটানোর উত্তেজনা। তবে নিষিদ্ধ বাজি রুখতে পুলিশের ধরপাকড় ও কিছুটা হলেও তৈরি হওয়া সচেতনতার জেরে মানুষের মধ্যে সবুজ বাজি কেনার চাহিদা বেড়েছে।
CISR-নিরি (ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-র দীর্ঘ গবেষণার ফল সবুজ বাজি। এই বাজিতে বেরিয়াম যৌগ ব্যবহার করা হয় না। সাধারণ বাজিতে ব্যবহৃত বেরিয়াম মোনোক্লোরাইড, বেরিয়াম নাইট্রেট ও বেরিয়াম ক্লোরেট আদতে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণের কারণ। এই বাজি পোড়ালে বাষ্প বেরিয়ে আসে, তাই খুব বেশি ছাই, ধুলো উৎপন্ন হয় না। এই বাজি ফাটালে ১১০ থেকে ১২৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ উৎপন্ন হয় না। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সাধারণ বাজির তুলনায় এই বাজিতে ৩০ শতাংশ কম দূষণ হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে এই গ্রিন বাজি তৈরি করছেন পবন মালাকার ও তাঁর পরিবার। তবে তাঁদের গলায় শোনা যাচ্ছে আক্ষেপের সুর। দুর্গাপুজো বা কালীপুজোয় ব্যবসা জমলেও বছরের অন্য সময় এই ব্যবসার চাহিদা থাকে না। কয়েক মাস ব্যবসার ‘সিজন’ থাকলেও বাকি সময় অন্য ব্যবসা করতে হয়।