Kali Puja 2025: দেবীর মুখে মিলেছিল নিখোঁজ শিশুর পোশাক! 'কালীগ্রামের' বড়িজ্যা কালীর সঙ্গে জড়িয়ে গায়ে কাঁটা দেওয়া কাহিনী, জানুন সেই গল্প

Last Updated:
Kali Puja 2025: এই গ্রামের সব পুজো গভীর রাতে শুরু হলেও বড়িজ্যা কালীর পুজো সন্ধ্যায় শুরু হয়। শোনা যায়, একবার পুজোর সময় গ্রামের একটি শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, গোটা রাত খুঁজেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে বড়িজ্যা কালীর মুখে ওই শিশুর পরনের কাপড়ের টুকরো দেখা যায়।
1/8
একদা শশাঙ্কের রাজধানী কর্নসুবর্ন থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরে অবস্থিত গোকর্ণ গ্রাম, যা আজ কালীগ্রাম হিসেবে পরিচিত। কালীপুজোর রাতে এই গ্রামে মোট ৪৮টি কালীপুজো হয় বলে জানা গিয়েছে। এখানে নাকি রাজা শশাঙ্কের গোশালা ছিল তাই নাম গোকর্ণ। এই গ্রামে শৈব রাজা গোকর্ণেশ্বর শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন বলেও জানা যায়। গোকর্ণ একটি অতি প্রাচীন, সমৃদ্ধশালী ও বিখ্যাত গ্রাম। (ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক অধিকারী)
একদা শশাঙ্কের রাজধানী কর্নসুবর্ন থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরে অবস্থিত গোকর্ণ গ্রাম, যা আজ কালীগ্রাম হিসেবে পরিচিত। কালীপুজোর রাতে এই গ্রামে মোট ৪৮টি কালীপুজো হয় বলে জানা গিয়েছে। এখানে নাকি রাজা শশাঙ্কের গোশালা ছিল তাই নাম গোকর্ণ। এই গ্রামে শৈব রাজা গোকর্ণেশ্বর শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন বলেও জানা যায়। গোকর্ণ একটি অতি প্রাচীন, সমৃদ্ধশালী ও বিখ্যাত গ্রাম। (ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক অধিকারী)
advertisement
2/8
গোকর্ণ গ্রামটি আরও এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য পরিচিত। ১৯৯৩ সালের ঘূর্ণিঝড়ে গ্রামের অর্ধেক বাড়িঘর, গাছপালা এমনকি পুকুরের জল পর্যন্ত বিধ্বস্ত হয়। অনেক মানুষ ও গবাদি পশুর প্রাণহানি ঘটে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের রেশ এখনও দেখা যায়। বর্তমানে গ্রামে প্রায় ৪ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামটি শক্তিপুজোর জন্য প্রসিদ্ধ।
গোকর্ণ গ্রামটি আরও এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য পরিচিত। ১৯৯৩ সালের ঘূর্ণিঝড়ে গ্রামের অর্ধেক বাড়িঘর, গাছপালা এমনকি পুকুরের জল পর্যন্ত বিধ্বস্ত হয়। অনেক মানুষ ও গবাদি পশুর প্রাণহানি ঘটে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের রেশ এখনও দেখা যায়। বর্তমানে গ্রামে প্রায় ৪ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামটি শক্তিপুজোর জন্য প্রসিদ্ধ।
advertisement
3/8
প্রতিবছর এই গ্রামে কালীপুজো ঘিরে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পুজোর সময় আশেপাশের গ্রামগুলি ছাড়াও বাইরে থেকে প্রচুর দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। এখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে যে উন্মাদনা থাকে তা জেলার অন্য কোনও মহকুমায় দেখা যায় না। একসময় এই গ্রামে ৮০-৯০টি কালীপুজো হত। বর্তমানে কমে গিয়ে ৪৮টি মতো পুজো হয় বলে জানা যায়। তাই এই গ্রামটিকে কালীক্ষেত্র বলা হয়।
প্রতিবছর এই গ্রামে কালীপুজো ঘিরে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পুজোর সময় আশেপাশের গ্রামগুলি ছাড়াও বাইরে থেকে প্রচুর দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। এখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে যে উন্মাদনা থাকে তা জেলার অন্য কোনও মহকুমায় দেখা যায় না। একসময় এই গ্রামে ৮০-৯০টি কালীপুজো হত। বর্তমানে কমে গিয়ে ৪৮টি মতো পুজো হয় বলে জানা যায়। তাই এই গ্রামটিকে কালীক্ষেত্র বলা হয়।
advertisement
4/8
সমগ্র মুর্শিদাবাদ জেলার আর কোথাও এমন ধুমধাম চোখে পড়ে না। এখানে দুর্গাপুজোর থেকে কালীপুজোয় বেশি জৌলুস দেখা যায়। অধিকাংশ পুজো কমিটির বাজেট লক্ষাধিক টাকার বেশি। প্রতিটি রাস্তাঘাটে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। কয়েকটি পুজো কমিটিতে আবার অন্নভোগ ও রাত্রিবাসের ব্যবস্থাও করা হয়। পুজো কমিটিতে স্বেচ্ছাসেবক দল এবং কয়েকটি জায়গায় মেডিক্যাল ক্যাম্পও বসানো হয় বলে জানা যায়।
সমগ্র মুর্শিদাবাদ জেলার আর কোথাও এমন ধুমধাম চোখে পড়ে না। এখানে দুর্গাপুজোর থেকে কালীপুজোয় বেশি জৌলুস দেখা যায়। অধিকাংশ পুজো কমিটির বাজেট লক্ষাধিক টাকার বেশি। প্রতিটি রাস্তাঘাটে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। কয়েকটি পুজো কমিটিতে আবার অন্নভোগ ও রাত্রিবাসের ব্যবস্থাও করা হয়। পুজো কমিটিতে স্বেচ্ছাসেবক দল এবং কয়েকটি জায়গায় মেডিক্যাল ক্যাম্পও বসানো হয় বলে জানা যায়।
advertisement
5/8
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এই গ্রামের প্রাচীন পুজো বলতে শ্যামরায় কালী, বড়িজ্যা কালী, গঙ্গাময়ী কালী, কোটাল কালী, বড়রায় কালী, ছোট কালীবাড়ির পুজো ও বেনে কালী উল্লেখযোগ্য নাম।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এই গ্রামের প্রাচীন পুজো বলতে শ্যামরায় কালী, বড়িজ্যা কালী, গঙ্গাময়ী কালী, কোটাল কালী, বড়রায় কালী, ছোট কালীবাড়ির পুজো ও বেনে কালী উল্লেখযোগ্য নাম।
advertisement
6/8
এখানকার বড়িজ্যা কালী ঘিরে একটি লোককথা শোনা যায়। গ্রামের সব পুজো গভীর রাতে শুরু হলেও বড়িজ্যা কালীর পুজো সন্ধ্যায় শুরু হয়। শোনা যায়, একবার পুজোর সময় গ্রামের একটি শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, গোটা রাত খুঁজেও শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এখানকার বড়িজ্যা কালী ঘিরে একটি লোককথা শোনা যায়। গ্রামের সব পুজো গভীর রাতে শুরু হলেও বড়িজ্যা কালীর পুজো সন্ধ্যায় শুরু হয়। শোনা যায়, একবার পুজোর সময় গ্রামের একটি শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, গোটা রাত খুঁজেও শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
advertisement
7/8
পরদিন সকালে বড়িজ্যা কালীর মুখে ওই শিশুর পরনের কাপড়ের টুকরো দেখা যায়। এতে গ্রামবাসীরা মনে করেছিলেন বড়িজ্যা কালী মা শিশুটিকে খেয়ে ফেলেছিলেন। সেই কারণেই বড়িজ্যা কালীর পুজো সন্ধ্যাবেলা শুরু হয় ও সূর্য ওঠার আগেই দেবীর বিসর্জন করা হয়।
পরদিন সকালে বড়িজ্যা কালীর মুখে ওই শিশুর পরনের কাপড়ের টুকরো দেখা যায়। এতে গ্রামবাসীরা মনে করেছিলেন বড়িজ্যা কালী মা শিশুটিকে খেয়ে ফেলেছিলেন। সেই কারণেই বড়িজ্যা কালীর পুজো সন্ধ্যাবেলা শুরু হয় ও সূর্য ওঠার আগেই দেবীর বিসর্জন করা হয়।
advertisement
8/8
প্রাচীন শ্যামরায় কালী, বড় রায় কালী, ছোট কালীবাড়ির কালী, গঙ্গাময়ী, বেনে কালী কৌলিক পুজো বলে পরিচিত। কালীপুজোকে ঘিরে বিসর্জনের দিন গোকর্ণ হাইস্কুল চত্বরে বিশাল মেলা বসে। আতশবাজি প্রদর্শনী দেখার জন্য এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করেন। (ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক অধিকারী)
প্রাচীন শ্যামরায় কালী, বড় রায় কালী, ছোট কালীবাড়ির কালী, গঙ্গাময়ী, বেনে কালী কৌলিক পুজো বলে পরিচিত। কালীপুজোকে ঘিরে বিসর্জনের দিন গোকর্ণ হাইস্কুল চত্বরে বিশাল মেলা বসে। আতশবাজি প্রদর্শনী দেখার জন্য এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করেন। (ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক অধিকারী)
advertisement
advertisement
advertisement