মিনি ক্যানভাস থেকে বড় ছবি, কিংবা সাদা কাগজের উপর নিজের উপর নিজের পোট্রেট, উপহার দিন প্রিয়জনকে। এবার সেই উপহার সামগ্রী বানিয়ে আর্থিক লাভের দিশা দেখাচ্ছে স্নাতক এই যুবতী। পেশাগতভাবে বর্তমানে গৃহ শিক্ষকতার কাজ করলেও বাড়িতে অবসরে ক্যানভাসে নানা ছবি ফুটিয়ে তোলেন। এছাড়াও গ্রাহকদের চাহিদা মতো কাস্টমাইজ করে দেন নানা ছবি। অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে সেগুলো। শুধু ক্যানভাসের ছবি আঁকা নয়, মুরাল আর্ট থেকে ক্লে পেইন্টিং সবই নিজের হাতে তৈরি করছেন তিনি ।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকের কেদার এলাকার বাসিন্দা স্মৃতিলেখা আচার্য্য। ইংরেজি সাহিত্যের স্নাতক পাস করেছেন তিনি। ছোট থেকে দাদার কাছে শেখা ছবি আঁকা। তবে বর্তমান দিনে কলেজ পাশ করার পর ছবিতেই নিজের আয় রোজগারের উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। বাড়িতে একদম ছোট্ট মিনি ক্যানভাস থেকে বড় ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলছেন বিভিন্ন ধরনের প্রকৃতির ছবি থেকে প্রতিকৃতি।
এছাড়াও পছন্দ মতো পোর্ট্রেটও বানিয়ে দিচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি ক্লে দিয়ে হ্যান্ডমেড জুয়েলারি বানাচ্ছেন তিনি। প্রতিটি জিনিসের আকার অনুযায়ী দাম রয়েছে। বাজারে চাহিদাও রয়েছে সাধারণ মানুষের। স্বাভাবিকভাবে অবসর সময়ে বিভিন্ন ধরনের ছবি এঁকে, হাতের নানা জিনিস বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন এই কলেজ পাশ ছাত্রী। অন্যদের দিচ্ছেন স্বনির্ভরতার দিশা।
রঞ্জন চন্দ