চলতি বছরে গতবারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে জেলার ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা। কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান সংগ্রহে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ধান কেনার সরকারি প্রক্রিয়া। এবছর জেলার মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন, যা গতবারের ৩ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টনের তুলনায় প্রায় এক লক্ষ মেট্রিক টন বেশি। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার ক্ষেত্রে সরকারের নির্ধারিত দাম রাখা হয়েছে প্রতি কুইন্টালে ২৩৬৯ টাকা-সহ বোনাস আরও ২০ টাকা। এই ধান বিক্রি টাকা সরাসরি কৃষকের নিজের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে ধান কেনার সুবিধার্থে জেলা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ৩৮টি সেন্ট্রাল প্রোকিউরমেন্ট সেন্টার (সিপিসি)। পাশাপাশি মাঠের পাশে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহের জন্য চালু হয়েছে ১২টি মোবাইল ভ্যান। এছাড়াও দুটি সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন ব্লকে মোট ১৩৩টি ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই ধান বিক্রির জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন প্রায় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার কৃষক। এ বিষয়ে জেলা অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ামক সোমনাথ মাজি বলেন, “এই কয়েকদিনে আমরা চাষিদের ধান বিক্রির ক্ষেত্রে ভাল সাড়া পেয়েছি। আমরা চাই জেলার আরও কৃষকরা রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সরকারিভাবে ধান বিক্রি করবেন। এবছর লক্ষ্যমাত্রা বেশি থাকলেও আশা করা যায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তা পূরণ হয়ে যাবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলায় প্রায় ২ লক্ষ ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। জেলা জুড়ে এমন ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে ধান বিক্রি নিয়ে উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রশাসনের আশা, চলতি মরশুমে লক্ষ্যপূরণে কোনও বাধা হবে না। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ধান বিক্রিতে আরও গতি আসবে বলে মনে করছেন জেলা খাদ্য দফতর। ধান বিক্রিতে কোনও কৃষক যাতে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ব্লকে প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ মনিটরিং টিম কাজ করছে। চলতি বছর জেলায় সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বাড়ায় খুশি জেলার ধান চাষের সঙ্গে যুক্ত থাকা কৃষকেরা।






