অভিযোগকারী ব্যবসায়ী উজ্জ্বল কর্মকারের দাবি, গত সোমবার গ্রাহক সেজে তাঁর দোকানে আসে দুই যুবক৷ তাদের মাথায় টুপি পরা ছিল৷ হিন্দিতেই কথা বলছিল দু' জন৷ এর পর দোকান থেকে একটি রুপোর মাদুলি কিনে তার দাম মেটায় ওই দুই যুবক৷
আরও পড়ুন: আইনি সাহায্য নিতে থানায় এসেছিলেন গৃহবধূ, বাড়ি গিয়ে তাঁকেই কুপ্রস্তাব সাব ইন্সপেক্টরের
advertisement
তার পরেই দোকান মালিককে সোনার গয়না দেখাতে বলে ওই দুই যুবক৷ সেই অছিলাতেই ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে তারা৷ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কথা বলতে বলতে দোকানদারের সামনেই ড্রয়ারের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে কিছু তুলে নিচ্ছে ওই দুই যুবক৷ পর মুহূর্তেই দোকান থেকে বেরিয়ে যায় তারা৷ ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, প্রায় দেড়শো গ্রাম ওজনের সোনার গয়না নিয়ে পালিয়েছে দুই দুষ্কৃতী৷ যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা৷
ওই ব্যবসায়ীর দাবি, দুই যুবকের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই কিছুটা তন্দ্রাচ্ছন্ন বোধ করেন তিনি৷ সেই সুযোগেই প্রায় তাঁর চোখের সামনে থেকেই ড্রয়ার থেকে সোনার গয়না তুলে নেয় ওই দুই যুবক৷ ওই ব্যবসায়ীর ধারণা, মাদুলি নিয়ে ওরা আমাকে দেড়শো টাকা দেয়৷ এর পর ওরা সোনার লকেট দেখতে চায়৷ আমি চার পাঁচটা লকেটও দেখাই৷ তার পরেও ওরা আরও লকেট দেখতে চায়৷ আর লকেট নেই বলে আমি ড্রয়ার বন্ধ করে দিই৷ কিন্তু এর পর একরকম জোর করেই একজন ড্রয়ারের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে প্রায় দেড়শো গ্রাম সোনার জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়৷'
আরও পড়ুন: প্রথমে লিভার এবং পাকস্থলী বের করেছিল, শ্রদ্ধাকে কীভাবে হত্যা? সেই ফ্ল্যাটেই পুলিশকে দেখালো আফতাব
উজ্জ্বল বাবুর অভিযোগ, ওই যুবকের কোনও কারসাজিতেই আচমকাই তন্দ্রাভাব চলে আসে তাঁর৷ সম্বিত ফিরতেই দোকানের বাইরে বেরিয়ে ওই দুই যুবককে আর দেখতে পাননি তিনি৷
ঘটনার পরই নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷