আসানসোলের কুলটির ভরতচক গ্রাম। সেখানেই রয়েছে বহু পুরনো এই রাম মন্দিরটি। এই রাম মন্দিরে সারা বছর রাখা থাকে প্রতিমার কাঠামো। যেখানে রাম, সীতা, লক্ষ্মণ ছাড়াও রয়েছেন ভরত, শত্রুঘ্ন, বিভীষণ। রয়েছেন রামভক্ত হনুমান। প্রত্যেক দিন নিত্যপুজো হয় এই মন্দিরে। বিশেষ বিশেষ তিথিগুলিতে হয় বড় আকারের আয়োজন। বছরে একবার নিয়ে আসা হয় রামচন্দ্রের সপরিবার মূর্তি।
advertisement
আরও পড়ুন : দেশি ঘিয়ের ১৩.৫ লক্ষ লাড্ডু সাজানো থরে থরে! রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় স্টিলের পাত্রে প্রসাদের রকমফের
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধার্মিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেজে উঠেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ছোট – বড় রাম মন্দিরগুলি। ঠিক একইভাবে জেলার বহু পুরানো এই রাম মন্দিরটিতে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ পুজো পাঠের পাশাপাশি ভক্তদের মধ্যে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : লন্ডন থেকে মনোবিদ, বায়োলজিস্ট সন্ন্যাসিনীরা অযোধ্যায় হাজির রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সাক্ষী থাকতে
গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, ভরতচক গ্রামের এই রাম মন্দির প্রায় ১৩৫ বছরের পুরনো। সারা বছর এখানে রাম পরিবারের কাঠামো পুজো হয়। তবে মাঘী পূর্ণিমায় থাকে বিশেষ আয়োজন। সে সময় রাম পরিবারের নতুন মূর্তি নিয়ে আসা হয়। পুজো চলে আট দিন ধরে। আট দিন ধরে সেই মূর্তিতেই পুজো হয়। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর সেই কাঠামো তুলে এনে রাখা হয় মন্দিরে। তারপর সারা বছর ওই কাঠামোতেই চলে নিত্য পুজো। বিশেষ বিশেষ তিথিতে বড় আকারে পুজোর আয়োজন করা হয়। তবে জেলার এক প্রান্তে থাকা এই বহু পুরানো রাম মন্দিরটির খোঁজ জানেন না অনেকেই।