আমেরিকা, রাশিয়ার অস্ত্র আর লাগবে না! ভারতের হাতে এখন বিষধর ‘নাগ’! একবার ছুটলেই শত্রু শেষ!
জানা গিয়েছে, এই ঘটনার শুরু সমাজ মাধ্যম থেকে। রংপুরের মেয়ে সুমনার সঙ্গে পরিচয় হয় কলবলিতলার সোহেল আলীর। সোহেল জানায়, “ওই অ্যাপসের এজেন্সি বাংলাদেশে ওই মেয়েটি দেখাশোনা করত। তার মাধ্যমে আরও প্রায় কুড়ি জনের সঙ্গে পরিচয় হয়। যারা প্রতি মাসে ১০/১২ হাজার করে টাকা আয় করত।” জানা গিয়েছে, অ্যাপসের মাধ্যমে ওই মেয়েরা সমাজ মাধ্যমে লাইভে এসে নতুন নতুন বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব করে বন্ধুত্ব করত। আর তার মাধ্যমেই আয় হত।
advertisement
সোহেল আরও জানায়, সুমনার অনুরোধেই বাংলাদেশে গিয়েছিল সে। সেটাও অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরি করে। কিন্তু ওখানকার মানুষ ভুল বুঝে মারধর করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
এও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশী প্রেমিকার টানে সোহেল বৈধভাবে মালদহের মেহেদীপাড়া সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার পবা থানা এলাকায় যায় প্রথমে। সেখানে তার মামার বাড়ি আছে। সেখানে থাকার পর রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। জানান, “শহরের আগেই মর্ডান নামের এক জায়গায় নামি আমি। সেখানে এসে ওই মেয়ে আমাকে গ্রহণ করে ও টোটোতে করে বাড়ি নিয়ে যায়। তার আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি ছিল না। কিন্তু পাড়ার লোকগুলো সব এলোমেলো করে দিল।” সোহেলের কথায় পাড়ার লোকগুলো তার কাছে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেটা দিতে না পারায় অমানবিক ভাবে মারধর করেছে ও কাছে থাকা ভারতীয় ৩ হাজার ৮০০ টাকা ও ৫ হাজার ৫০০ বাংলাদেশী টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। ওদের অত্যাচারের জেরে সুমনাদের বাড়ির কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি।
ছেলের কীর্তিতে বাবা মর্জেম আলী ভীষণ বিরক্ত। তিনি বলেন, “বার বার নিষেধ করেছিলাম। বলেছিলাম, বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান আছে, এসব পথে যাস না। কিন্তু শোনেনি ছেলে। বাংলাদেশের ওই মেয়েই নাকি সব জানিয়ে চলে গেল। এখন শুনছি ওই মেয়েও বিবাহিতা। তাছাড়া সেখানে পৌঁছতেই ওখানকার লোক গুপ্তচর ভেবে মারধর করে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ছেলে বাড়িতে না এসে সরাসরি কাজের জায়গায় চলে গিয়েছে।”
কৌশিক অধিকারী