রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুর গরদ শাড়ির জন্য বিখ্যাত। এখানে তাঁত শিল্পর মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী গরদ শাড়ি তৈরি করা হয়। মির্জাপুরের তাঁতিরা এই গরদ শাড়ির নকশা ও বুননে বিশেষ পারদর্শী। মূলত রেশম সুতো দিয়ে গরদ শাড়ি তৈরি করা হয়, যাতে সূক্ষ্ম নকশা ও কারুকার্য দেখা যায়। এটি গরদ সিল্কের জন্য সুপরিচিত। বিশেষ করে, গরদ শাড়ির নকশা ও বুনা মির্জাপুরের খ্যাতি রয়েছে। মির্জাপুরের তাঁতিরা ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে গরদ শাড়ি তৈরি করে আসছেন। যদিও এখন মেশিনেই চলে তাঁতের কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন : শিরদাঁড়াহীন সন্তান হাঁটতে পারে না! মনের কষ্ট লুকিয়ে বিনামূল্যে মনোরঞ্জনের ‘ফেরিওয়ালা’ পরিযায়ী শ্রমিক
রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুরে এই কোরিয়াল ও গরদ শাড়ি তৈরি করে থাকেন বহু শিল্পীরা। এই গ্রামকেই মূলত বলা হয় গরদের কারখানা। এবছর এই এই কোরিয়াল শাড়ি জিআই ট্যাগ পেয়েছে । ইতিমধ্যেই এবার বিশ্ব দরবারে শাড়ির চাহিদা বাড়বে বলেই আশা করছেন এই শিল্পীরা। তবে কারখানায় তৈরি হওয়া শাড়ি দোকানে বিক্রি হয়ে থাকে। বর্তমানে দোকান মালিকরা খুশি। আগামী দিনে এই শাড়ির যেমন চাহিদা থাকবে তুঙ্গে। ঠিক তেমনই আরও দাম বৃদ্ধি পাবে শাড়ির।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
৭ আগস্ট, ১৯০৫ সালে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। যা দেশীয় শিল্প এবং বিশেষ করে তাঁতীদের উৎসাহিত করেছিল। ২০১৫ সালে, ভারত সরকার প্রতি বছর ৭ আগস্টকে জাতীয় তাঁত দিবস হিসাবে স্মরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তাঁত দিবস হলেও তাঁতিরা ন্যায্য মজুরি পান না বলেই আক্ষেপের সুর তাদের গলায়।