শিরদাঁড়াহীন সন্তান হাঁটতে পারে না! মনের কষ্ট লুকিয়ে বিনামূল্যে মনোরঞ্জনের 'ফেরিওয়ালা' পরিযায়ী শ্রমিক

Last Updated:

ইচ্ছেশক্তিকে জোরে কার্টহুইল, সামারসল্ট, হ্যান্ড ওয়াক অর্থাৎ হ্যান্ডস্ট্যান্ড জিমনাস্টিকে পারদর্শী পরিযায়ী শ্রমিক সফিকুল।

+
পরিযায়ী

পরিযায়ী শ্রমিক সফিকুল শেখ।

‘দুর্গাপুর, দীপিকা সরকার: রাস্তার মাঝে যুবকের অদ্ভুত প্রতিভা দেখে হতবাক। পরিস্থিতির চাপে পড়ে নিজের বিরল প্রতিভাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে না পারলেও, প্রতিভা দেখিয়ে মনোরঞ্জন করছেন সহকর্মী সহ পথচারীদের। ওই পরিযায়ী শ্রমিকের ট্যালেন্ট দেখলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও। কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই কেবল ইচ্ছেশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কার্টহুইল, সামারসল্ট, হ্যান্ড ওয়াক অর্থাৎ হ্যান্ডস্ট্যান্ড জিমনাস্টিকে মাহির পরিযায়ী শ্রমিক সফিকুল। তিনি পা দিয়ে নয়, কেবল হাতের উপর ভর করেই হেঁটে চলাফেরা করতে পারেন। হ্যাঁ এমনই অদ্ভুত দৃশ্যের দেখা মিলছে দুর্গাপুর স্টেশন চত্বরে।
বছর ২৫’র যুবক সফিকুল শেখ মালদা জেলার কালিয়াচক থানার  সুজাপুরের বাসিন্দা। তিনি পেশায় রেলের ঠিকাদারের অধীনে লাইপলাইনের কাজ করেন। কর্মসূত্রে বাড়ি ছেড়ে সারাবছর দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বসবাস করেন তিনি। তাঁর পরিবারের মা, বাবা সহ তাঁর স্ত্রী ও একটি পুত্রসন্তান আছে। আর্থিক অনটনে সংসার টানতে ও নিজের অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার খরচ জোগাতে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন।
advertisement
advertisement
পাশাপাশি জিমন্যাস্টিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হ্যান্ডস্ট্যান্ডে তিনি পারদর্শী। হ্যান্ডস্ট্যান্ডের মত জিমন্যাস্টিকে প্রচুর শারীরিক কসরত করতে হয়। কিন্তু সেই কৌশল তাঁর কাছে একপ্রকার খেলার সমান। তবে তাঁর দাবি, যেহেতু তিনি কঠোর পরিশ্রমের কাজ করেন, তাই এই জিমনাস্টিককে বেছে নিয়েছেন শরীর চর্চা হিসেবে। তাঁর আরও দাবি, হাত, পা, বাহু, কাঁধ, পিঠ ও বুক সহ পেটের পেশী গোষ্ঠী শক্তিশালী করতেই তিনি এই কৌশলকে কাজে লাগাচ্ছেন। তবে হ্যান্ডস্ট্যান্ড, হ্যান্ড ওয়াক কোনও সাধারণ কৌশল নয়।হ্যান্ডওয়াক ও  হ্যান্ডস্ট্যান্ড হল হাতের উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ও হাঁটা চলা করা। হ্যান্ডওয়াক জিমন্যাস্টিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হ্যান্ড ওয়াকে অনেক বেশি শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করতে হয়।শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে হয় তৎপরতার সঙ্গে। পরিযায়ী শ্রমিক সফিকুল কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেলার ছলে এই সমস্ত জিমন্যাস্টিক করে মনোরঞ্জন করছেন সহকর্মী সহ দুর্গাপুরবাসীর। যদিও তিনি পরিযায়ী হওয়ায় কয়েক মাস পরে ফের অন্য রাজ্যে পাড়ি দেবেন। কিন্তু তিনি নিজের প্রতিভা দিয়ে সকলের মনোরঞ্জিত করলেও বুকের মধ্যে বহন করে চলেছেন একরাশ কষ্ট। কারণ তাঁর বছর তিনের পুত্র সন্তান শিরদাঁড়াহীন হওয়ায় পা’য়ে ভর করে উঠে দাঁড়াতেই পারেনা। অর্থের অভাবে উন্নতমানের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত তাঁর সন্তান।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
শিরদাঁড়াহীন সন্তান হাঁটতে পারে না! মনের কষ্ট লুকিয়ে বিনামূল্যে মনোরঞ্জনের 'ফেরিওয়ালা' পরিযায়ী শ্রমিক
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement