বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম শক্তির দেবী কালীর পুজো। বিভিন্ন জায়গায় নানা রীতি রেওয়াজ মেনে পুজো হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় শ্মশান কালী পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব এই ভূতের নাচ। শ্মশানের প্রাচীরেই ডাল-পালা, নানা আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। তাতে উঠে নাচছে ভূত-প্রেত-ব্রহ্মদৈত্যি সহ একাধিক ভূত, তা দেখতে ভিড় জমিয়েছে বহু মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উর্দি ছেড়ে গিটার হাতে আধিকারিক, দুই পুলিশ কর্তার গানের গলা অবাক করবে আপনাকেও!
দুর্গাপুজো এবং লক্ষ্মীপুজোর পর শক্তির দেবী কালীর আরাধনায় মেতে ওঠেন সকলে। একাধিক প্রাচীন পুজোয় থাকে নানা বিশেষত্ব। দিকে দিকে পুজোয় থাকে নতুন আয়োজন। তবে প্রায় দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে এই রীতিতে কোনও বদল নেই। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার যুবশক্তি ক্লাবের আয়োজনে সুউচ্চ দেবী কালীর মূর্তি তৈরি করে পূজার্চনার পাশাপাশি কালী পুজোর পরের দিন থেকে শুরু হয় ভূতের নাচ। পিছনেই বেলদার শ্মশান, সেই চত্বরে চলে এই ভূত নাচ। বছরে মাত্র দু’দিনের এই ভূত নাচ দেখতে দূরদূরান্ত থেকে অনেকে ছুটে আসেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার কচিকাঁচারা ভূত সেজে এখানে নাচ পরিবেশন করে, থাকে বাহারি আলোকসজ্জা এবং সাউন্ড সিস্টেম। কালীপুজোর পরের দু’দিন ক্লাবের তরফে এই আয়োজন থাকে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বেশ কয়েক দশক ধরেই ক্লাবে এই রীতি রয়েছে। বিপরীতেই দক্ষিণা কালিকার মন্দির, পাশে শ্মশান। এখানেই পুজোর পর ভূত নাচের আয়োজন করা হয়। প্রতি বছর এই নাচ দেখতে ভিড় জমান বেশ কয়েক হাজার মানুষ। এই বছরও ভূত নাচের প্রথম দিন বেশ কয়েক হাজার মানুষের ভিড় ছিল এখানে। মন ভরে ছবি ও ভিডিও তোলেন তাঁরা। এই আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন আট থেকে আশি সকলে।