একলপ্তে পাঁচটি কংক্রিটের সেতু নির্মাণের জন্য সেচ দফতর ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে। ঘাটাল মহকুমা সেচ দফতর জানিয়েছে, এই মার্চ মাসেই শুরু হতে চলেছে পাঁচটি পাকা সেতুর কাজ। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে ওয়ার্ক অর্ডারও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘খুব শীঘ্রই এই মার্চ মাসেই পাঁচটি সেতুর কাজ শুরু হতে চলেছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আওতায় থাকা চন্দ্রেশ্বর পলাশপাই খাল প্রভৃতি খালের উপর সেতুগুলি নির্মাণ হতে চলেছে। এর ফলে ব্লক এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। সেতুগুলি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল।’’
advertisement
ঘাটাল মহকুমা সেচ দফতর দাসপুর দুই নম্বর ব্লকে ১৫টি সেতুর এস্টিমেট করে জেলা সেচ দফতরে পাঠিয়েছিল। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আওতায় থাকা এই সেতুগুলি দ্রুত ছাড়পত্রের জন্য দাসপুর দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে মনিটারিং কমিটির বৈঠকে দাবি জানানো হয়েছিল। মনিটারিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া দফতরের আধিকারিকদের দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপরই পাঁচটি কংক্রিটের সেতুর ছাড়পত্র মেলে। রাজ্য সেচ দফতর সূত্রে খবর এই পাঁচটি সেতুর জন্য মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯ কোটি ২৬ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। সেতুগুলি নির্মাণ হচ্ছে, দরিঅযোধ্যার নাপিত পাড়া ও সামন্ত পাড়ায়। চাইপাটের হাঁড়িঘাটায়, ভুইয়াড়া ও উদয়চক এলাকায়।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী বছরের অগাস্ট মাসেই শেষ করতে হবে সেতু নির্মাণের কাজ। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য আশিষ হুদাইত জানিয়েছেন, ” বর্তমানে পাঁচটি সেতুর ছাড়পত্র মিলেছে। খুব শীঘ্রই একসঙ্গে পাঁচটি সেতুরই কাজ শুরু হতে চলেছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত এলাকার বাসিন্দাদের সমস্ত রকম সুবিধা দেবে সরকার।”