জানা গিয়েছে, কার্তিক মাসে ফসল লাগানো হয়। ফাল্গুন মাসে ফসল তোলা হয়। বিঘা প্রতি জমিতে ফসল করতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ভাল ফলন হলে ১৫-২০ কুইন্টাল রসুন হয়। গত বছর দাম কম থাকায় ফসলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক চাষি রসুনের চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন। তবুও এই বছর ভাল দামের আশায় রসুন লাগাচ্ছেন চাষিরা। রসুনের ফলন ভাল হলে এবং ভাল দাম পেলে লাভের মুখ দেখবেন সাগরপাড়ার চাষিরা।
advertisement
বাঙালির রান্নাঘরের একটি উল্ল্যেখযোগ্য অংশ হল রসুন। এটি অর্থকারী ফসল হিসেবেও পরিচিত। ঔষধশিল্পে এর ভেষজ গুণাবলী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। জানা যাচ্ছে, রসুনে আমিষ, ক্যালসিয়াম ও অল্প পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি হৃদরোগ, অর্শ, ক্রিমি, সর্দি, কাশি, টাইফয়েড, বাতরোগ, চর্মরোগ নিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া ফুসফুসের রোগ, হুপিং কাশি, অন্ত্রের রোগের ক্ষেত্রেও রসুন ব্যবহৃত হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাংলা মাসের আশ্বিনের শেষ থেকে কার্তিকের শুরুর ১০ থেকে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে রসুনের চারা রোপণ করতে হয়। এর পরে হলে রসুনের ফলন কমে যায়। সাধারনত উর্বর দোঁআশ মাটি অথবা জল ধরে রাখে না এমন গুঁড়ো মাটিতে রসুনের ফলন ভাল হয়। এছাড়া এঁটেল-দোঁ-আশ মাটিতেও রসুন হয়ে থাকে, কিন্তু এর ফলন ভাল হয় না।





