গণধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় এক নাবালক সহ দুজন জড়িত বলে অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে নাবালিকাকে পিছন থেকে মুখ চাপা দিয়ে ধরে অভিযুক্তরা একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তোলে। মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে দুই জন গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে নাবালিকাকে পেয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে দিয়ে দুই অভিযুক্ত চম্পট দেয়। রবিবার রাত থেকে নাবালিকা অসুস্থ বোধ করতে থাকে। বাড়ির মেয়েকে চুপচাপ দেখে নাবালিকার মা জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে নির্যাতনের ঘটনার কথা সব খুলে বলে।
advertisement
অসুস্থ নির্যাতিতা পরিবারের কাছে অভিযুক্তদের পরিচয় বলে দেয়। গ্রামের অন্যপ্রান্তের বাসিন্দা নরেশ সোরেন ও প্রশান্ত হাঁসদা নামে দুই অভিযুক্তের পরিবারকে ডেকে মঙ্গলবার আদিবাসী সমাজে বিচার বসানো হয়। বিচার সভায় মোড়লের ডাকে অভিযুক্তদের পরিবারের কেউ হাজির না হলে মঙ্গলবার কাটোয়া থানায় নাবালিকার মা এক নাবালক সহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া নির্যাতিতা নাবালিকাকে পরিবারের সদস্যরা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: ১০ বছরের বেশি সময় ধরে চলেছে 'টাকা খাওয়া', মানিকের কাছেই সব রহস্য, দাবি ইডির
আরও পড়ুন: 'বিলম্বিত বোধোদয়', তাপস রায়কে বিস্ফোরক আক্রমণ দিলীপের! তোলপাড়
অভিযোগ পাওয়ার পর কাটোয়া থানার পুলিশ কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নরেশ সোরেন নাবালক থাকায় তাকে বুধবার বর্ধমান জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক প্রশান্ত হাঁসদাকে বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস জানান। গোপন জবানবন্দির জন্য কাটোয়া থানার পুলিশ নির্যাতিতা নাবালিকাকে কাটোয়া আদালতে বিচারকের সামনে পেশ করে। সাহেবডাঙ্গার আদিবাসী পরিবারের দাবি, পুলিশ অভিযুক্তদের এমন শাস্তি দেয় যেন আর কেউ এই ধরনের নোংরা কাজ করতে সাহস পাবে না।
----রণদেব মুখোপাধ্যায়