২০২৬ সালের গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হবে মাসখানেক পর। তার আগেই কপিলমুনির মন্দিরের সামনে ভাঙনে বিধ্বস্ত সমুদ্রতট মেরামত করে নতুন স্নানঘাট তৈরির কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। সেচ দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আপৎকালীন এই ঘাট মেরামতির কাজ করছে দফতর।প্রশাসনের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দ্রুত প্রস্তুতির কাজ সেরা ফেলা।
advertisement
জানা গিয়েছে, দু’নম্বর রাস্তার সোজা বাঁধে টেট্রাপড থাকার কারণে পুণ্যার্থীরা সাগরের জলে নামতে সমস্যায় পড়ছিলেন। সেজন্য তিন ও চার নম্বর রাস্তার দিকে ইট ভেঙে বোল্ডার ফেলে ঢেউ আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
পাঁচ নম্বর রাস্তার কাছে ভাঙন অনেকটাই আটকানো গিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রাশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা সাগরে আসতে শুরু করেছেন। প্রথমে নামখানা-বেণুবন পয়েন্টে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজ়িং ও অস্থায়ী জেটিঘাট পরিদর্শন করেছেন তাঁরা।
লট নম্বর আট, কচুবেড়িয়া ও চেমাগুড়িতে অস্থায়ী জেটিঘাট তৈরির কাজ চলছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বড়দিনের মধ্যে সমস্ত জেটির কাজ শেষ করা হবে। মুড়িগঙ্গা নদীতে জমা পলি সরাতে দিনরাত চারটি ড্রেজ়ার দিয়ে কাজ চলছে। এ বার ড্রেজ়িংয়ে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই প্রস্তুতি নিয়ে মেলা পরিদর্শক শক্তিপদ দাস জানিয়েছেন, মেলার প্রস্তুতির কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ শেষ। বড়দিনের আগেই এই কাজ শেষ হবে। ফলে এবছর অনেকটা সময় পাবেন সকলেই।





