একটা ৩০ টাকা মূল্যের কাগজের টুকরোই পাল্টে দিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের চলুন গ্রাম আশ্রমবাজারের দিনমজুর তপন রায়ের ভাগ্য। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার এক আটার মিলে দিনমজুরের কাজ করেন তিনি। জানা গেছে, নাগাল্যান্ডের ডিয়ার কোম্পানির একটি ৬ সিরিজের ৩০ টাকা দিয়ে লটারি কিনেছিলেন তিনি। আর কাটা মাত্রই কপাল ফিরে যায় তপন বাবুর।
advertisement
কোটিপতি হওয়ার পর তপন রায় জানান, “ভাল বাড়ি করব, জমি কিনে চাষ করব, আর দিনমজুরি করতে হবে না। পরিবারকে আর কষ্টে থাকতে হবে না। প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।”
আরও পড়ুন- ভাতার টাকায় রাস্তা সংস্কার! এমন জনপ্রতিনিধি কবে দেখেছেন?
তপনের বাবা বিপুল রায় বলেন, “ছেলের এই জয়ে আমাদের দুঃখের দিন শেষ হল। এখন আর চিন্তার কোন কারণ থাকবে না।” তপনের পরিবারে রয়েছেন তাঁর বাবা বিপুল রায়, মা শোভা রায়, ঠাকুমা, দাদু। মাটির একখানা ঘরে দুটি রুমেই দীর্ঘদিন ধরে কষ্টের সঙ্গে বসবাস করতেন তাঁরা। বিগত সাত বছর ধরে বাবার সঙ্গে শিলিগুড়িতে গিয়ে আটার মিলে দিনমজুরের কাজ করতেন তপন।
এর পরেই লটারিতে বিপুল পুরস্কার জিতে তপনবাবু ফিরে আসেন নিজের বাড়ি গঙ্গারামপুরে। সেখানে পৌঁছতেই গঙ্গারামপুর থানায় গিয়ে লটারি টিকিট দেখিয়ে সাধারণ ডায়েরিও করেন তিনি। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে আত্মহারা তপন ও তাঁর পরিবার। তপনের ‘জয়ে’ খুশি পাড়া প্রতিবেশী থেকে শুরু করে স্থানীয়রাও।
-সুস্মিতা গোস্বামী