মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে সামশেরগঞ্জের বোখদাদনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপগঞ্জ গ্রামে। নির্দেশ পেলে অবশ্যই কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেচ দফরের ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলিকে প্রাথমিক স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রশাসন সমস্তরকম ভাবে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আছে।
আরও পড়ুন - Weather Update: আজই বঙ্গোপসাগরে ঘনাতে পারে ঘূর্ণাবর্ত, রইল কলকাতা সহ জেলার ওয়েদার আপডেট
advertisement
সামশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জে প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ বাস করে। কৃষিকাজ, বিড়ি বেঁধে কোনও রকমে জীবিকা নির্বাহ করায় ছিল তাদের রোজনামচা। কিন্তু নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় মাথায় ছাদটুকু চলে যাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই চোখের জলে ভাসাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তিলতিল করে তৈরি করা বাড়ি বাচাতে কেউ ইট, কেউ বাড়ির গ্রিল, কেউ দরজা জানলা খুলতে ব্যস্ত। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি স্থায়ী সমাধান করুক সরকার। গোটা গ্রামজুড়ে শুধুই হাহাকার।
ভাঙন বিধ্বস্ত সীমা বিবি বলেন, ‘‘আর একটু ভাঙনেই আমার বাড়িটা নদীতে তলিয়ে যাবে। আমার আর শেষ সম্বল বলে কিছু থাকল না। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’’ গ্রামবাসি রাকেশ সরকার বলেন, ‘‘গঙ্গা এখান থেকে প্রায় ১৬ কিমি দূরে ছিল। আজ দুয়ারে এসেছে গঙ্গা।’’
গ্রাম থেকে ধুলিয়ান যাওয়ার প্রধান রাস্তাও গঙ্গায় তলিয়ে যাবে। বছর তিনেক ধরে ভাঙন চললেও ভাঙন প্রতিরোধের কোনো কাজ হচ্ছেনা। কিছুদিন আগে বালির বস্তা ফেলা হলেও তা জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে মুছে চলে গিয়েছে। ভাঙন শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো সরকারি প্রতিনিধিদের দেখা মেলেনি। ভাঙন রুখতে স্থায়ী ভাবে গঙ্গার পাড় বাধানো হোক।
Pranab Kumar Banerjee