আরও পড়ুনঃ গভীর রাতে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন, ঘুমের মধ্যেই সব শেষ! নদী গর্ভে তলিয়ে গেল পরপর বাড়ি
বর্তমানে গঙ্গার জলস্তর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি হচ্ছে। আর তাতেই হচ্ছে আতঙ্ক। কারণ, গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি ও কমতেই ভাঙন দেখা যায় এখানে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে কাজ করা হলেও এই কাজ অতি নিম্নমানের। পাথর দিয়ে গঙ্গার পাড় বাঁধানো হলেই হবে স্থায়ী সমস্যার সমাধান। কিন্তু বারংবার বলার পরেও পাথর দিয়ে ভাঙন এলাকায় পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হয়নি। আর এতেই প্রতিবছর ভাঙনের শিকার হতে হয় সামশেরগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের।
advertisement
বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হলেও বর্ষায় গঙ্গার জল বাড়তেই শুরু হয় নতুন ভাবে ভাঙন আর এতেই সর্বস্ব হারিয়ে যত্রতত্র আশ্রয় নিতে হচ্ছে ভাঙন এলাকার মানুষদের। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এলেও শুধুমাত্র ত্রিপল, চাল আর ডাল ছাড়া কিছুই মেলেনি। মেলেনি স্থায়ী সমস্যা সমাধানের আশ্বাস। মেলেনি বসবাসের জন্য সমাধানের সূত্র। এক প্রকার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভাঙনে সর্বস্ব হারানো মানুষজন। ফলে এখন খোলা আকাশের নীচই তাঁদের ভরসা। অস্থায়ী ছাউনি করেই দিন কাটাচ্ছেন ভাঙন কবলিতরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একশো কোটি টাকা বরাদ্দ করে ভাঙন রোধের কাজ করা হলেও সেই কাজ ঠিক মতো না হওয়ার জেরেই লাগাতার ভাঙনের গ্রাসে সামশেরগঞ্জ থেকে সুতি, ফরাক্কা সর্বত্রই। কবে মিলবে সমাধান? উঠছে প্রশ্ন।