জানা গিয়েছে, একের পর এক বাড়ি তলিয়ে গেল গঙ্গার জলে। গঙ্গা ভাঙনের অভিশাপে আবারও ভুক্তভোগী মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের উত্তর চাচন্ড। লোকজন ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় শুরু হয় ভাঙন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোর থেকে শুরু হয় ভাঙন। তলিয়ে গিয়েছে দুটি বাড়ি। আরও একাধিক বাড়ি গঙ্গা পাড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে। আতঙ্ক আর হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে উত্তর চাচণ্ড জুড়ে। ঘুমন্ত এলাকা জেগে উঠল নদী ভাঙনের ভয়াবহতায়।
advertisement
শুধু বাড়ি নয়, নদী গর্ভে বিলীন বড় বড় গাছ। হঠাৎ করে ভাঙনের ফলে ঘরের আসবাবপত্র সবকিছু নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গবাদি পশু। দুটি বাড়ি তলিয়ে যেতেই এখন আতঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা। ভাঙনের টের পেয়ে কোনওরকমে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘর ছেড়ে প্রাণে বেঁচেছে ১০টি পরিবার। নদী পাড় সংলগ্ন কালী মন্দিরেও ধরেছে ফাটল। ভাঙনের আতঙ্কে আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভাঙন এলাকায় পরিদর্শনে যান মুর্শিদাবাদের সামেরগঞ্জের বিডিও সুজিত চন্দ্র লোধ। এলাকা ঘুরে দেখেন বিধায়ক আমিরুল ইসলামও। জরুরী ভিত্তিতে বাসিন্দাদের খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিনের সমস্যা গঙ্গা ভাঙন। ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হয়েছিল। ভাঙনের কোনও লক্ষণ দেখা দেয় নি। কিন্তু রাত থেকে ভাঙন শুরু হয়। সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধের কাজের দাবি জানানো হয়েছে।