লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গঙ্গা-পদ্মার জল! ফারাক্কা, কাটিগঙ্গা নিয়ে আরও চিন্তা! এরই মাঝে প্রশাসনের বড় বার্তা
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Tanmoy Mondal
Last Updated:
মুর্শিদাবাদের সেকেন্দ্রা থেকে গিরিয়া যাওয়ার যে কাটিগঙ্গার উপর একটিমাত্র বাঁশের ফরাস সেটির ওপর দিয়ে জল বইছে খুব ভয় করছে পার হতে।
রঘুনাথগঞ্জ, তন্ময় মন্ডল: প্রশাসনিক আধিকারিকদের সতর্কবার্তায় ফরাক্কা ব্যারেজে গঙ্গা জলস্তর বিপদ সীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে, যার ফলে যেকোনও সময় জলমগ্ন হতে পারে ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, সুতি, সহ রঘুনাথগঞ্জের একাধিক এলাকা। আতঙ্কে ঘুম হারিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যেই বাস করছেন রঘুনাথগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের পদ্মা নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
রঘুনাথগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বড় শিমুল, গিরিয়া, সেকেন্দ্রা, মিঠুপুর অঞ্চলের পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ পদ্মা নদীর জল বাড়ার কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরতলা ফেরিঘাট থেকে গিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতলা টোলা সহ একাধিক গ্রাম যাওয়ার কাটি গঙ্গার ওপর একমাত্র বাঁশের ফরাসের ওপর দিয়ে জল বইতে থাকে। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলস্তর বৃদ্ধিও হচ্ছে এলাকায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
advertisement
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুর্শিদাবাদের সেকেন্দ্রা থেকে গিরিয়া যাওয়ার যে কাটিগঙ্গার উপর একটিমাত্র বাঁশের ফরাস সেটির ওপর দিয়ে জল বইছে খুব ভয় করছে পার হতে। যে কোনও সময় ভেঙে পড়ে যেতে পারে অথবা ভেসে যেতে পারে ফরাসটি, খুব ভয়ে ভয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। প্রত্যেকদিন এই ফরাসের উপর দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। যদিও অনেকটা ঘুরপথে অ্যাফ্লেক্স বাদ দিয়ে যাতায়াতের অপর আরেকটি পথ থাকলেও সেটি অনেকটাই বেশি রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। সেই কারণে সাধারণ মানুষের সুবিধের প্রচলিত রাস্তা আমাদের এই বাঁশের ফরাস। জলস্তর যেভাবে প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাতে হয়তো এটা দিয়ে আর যাতায়াত করা সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ আছে। এই ফরাসটি বন্ধ হয়ে গেলে চরম সমস্যায় পড়তে হবে ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের। গ্রামবাসীদের প্রতিনিয়ত এই বাঁশের খরাস এর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। নিত্যদিনের যে কোন কাজ থেকে চরম সমস্যায় পড়বে এলাকার বাসিন্দারা।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রঘুনাথগঞ্জ দুই নম্বর বিডিও দেবত্তম সরকার জানান, “প্রতিনিয়ত আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। এলাকার মানুষজনদের প্রতিনিয়ত সচেতন করছি। কোনওরকম সমস্যা হলেই ব্লকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছি। পদ্মার জলস্তর বাড়ছে যদিও আমার এলাকায় বাড়িঘর ভেঙে পড়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। কিছু এলাকায় জল বাড়ি ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে। এলাকায় বিদ্যালয় ত্রাণ শিবির প্রস্তুত আছে। প্রয়োজনে বন্যা দুর্গত মানুষদের নিয়ে আসা হবে। ফেরিঘাটটি জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে আছে। জেলা পরিষদ থেকেই এই ঘাটটির ডাক করা হয়। বাঁশের ফরাসের ওপর দিয়ে জল বইছে। এই সময় সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করলে যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। সেই কারণে জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষজনদের আমরা ওটি দিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করছি। অপর যে ঘুরতি পথ আছে সেই পথ দিয়ে যাতায়াতের আবেদন রাখছি। কারণ জলের যে স্রোত তাতে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লক প্রশাসন সমস্ত ভাবে প্রস্তুত সাধারণ মানুষের সহযোগিতায়।”
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
August 13, 2025 9:05 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গঙ্গা-পদ্মার জল! ফারাক্কা, কাটিগঙ্গা নিয়ে আরও চিন্তা! এরই মাঝে প্রশাসনের বড় বার্তা