TRENDING:

Ganga Erosion Damage Report: ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে ৪১৩ গ্রাম! মালদা, মুর্শিদাবাদের গঙ্গা ভাঙন নিয়ে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট, ঘুম উড়াচ্ছে আরও এক ভবিষ্যদ্বাণী

Last Updated:

Ganga Erosion Damage Report: মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার এক জ্বলন্ত সমস্যা হল গঙ্গা ভাঙন। বর্ষার শুরু হোক বা শেষ ভাঙনের করাল গ্রাসে তলিয়ে যায় একের পর এক জমি ভিটে মাটি সব কিছুই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার এক জ্বলন্ত সমস্যা হল গঙ্গা ভাঙন। বর্ষার শুরু হোক বা শেষ ভাঙনের করাল গ্রাসে তলিয়ে যায় একের পর এক জমি ভিটে মাটি সব কিছুই। তবে এবার চিন্তিত প্রশাসন। গঙ্গা ভাঙনের জেরে বদলে যেতে পারে আগামী দিনে মালদা-মুর্শিদাবাদের ভৌগলিক অবস্থান। ফুলহার-কোশী রতুয়া-এক ব্লকে চলে এসেছে ৭০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে। ভাগীরথী-গঙ্গার দূরত্ব কমে এসেছে মাত্র ৩ কিমি দূরত্বে। তড়িঘড়ি কেন্দ্রের তরফে অর্থ না পেলে ফের তলিয়ে যাবে জমি, বাড়ি সহ একাধিক গ্রাম। বিধানসভায় ভাঙ্গন সংক্রান্ত আলোচনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
advertisement

জানা গিয়েছে, ২০০৫ সাল থেকে ২০২৫ সালের মে মাস অবধি মালদামুর্শিদাবাদ জেলায় ২৫৩৫৩ বিঘা জমি জলের তলায় চলে গেছে। এছাড়াও জলের তলায় চলে গিয়েছে মালদার ২১৮ গ্রাম ও মুর্শিদাবাদের ১৯৫ গ্রাম। ফারাক্কা ব্যারেজ এলাকায় ভাগীরথী-গঙ্গা চলে এসেছে ৩ কিমি’র মধ্যে। ফুলহার ও কোশীর মধ্যে রতুয়া-এক ব্লকে দূরত্ব কমে চলে এসেছে ৭০০ মিটার। যে কোন সময় এই নদী একসঙ্গে চলে এলে বিপদ আরও বাড়বে আশঙ্কা রাজ্যের।

advertisement

আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় ঘুরছে চোখ ধাঁধানো প্রেম প্রবাহিনী রথ! কেন এমন আয়োজন, কি রয়েছে এই রথে

শুধু তাই নয়, ভাঙনের জেরে মালদার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাট্টা দেওয়া হয়েছে ২৫৯৯ জনকে। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাট্টা দেওয়া হয়েছে ১০৩ জনকে। মালদা জেলায় বাংলার বাড়ি দেওয়া হয়েছে ১৭৩২ জনকে। মুর্শিদাবাদ জেলায় বাংলার বাড়ি দেওয়া হয়েছে ৫২৬ জনকে। পরিসংখ্যান ও তথ্য অনুযায়ী ফরাক্কা ব্যারেজকে শেষবার টাকা দেওয়া হয়েছিল ২০১২ সালের ১৯ মার্চ। ৯৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

২০০৫-২০১৭ সালের জুন মাস অবধি সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন জানিয়েছিল, ১২০ কিমি ফারাক্কা ব্যারেজের মাধ্যমে ভাঙ্গনের কাজ দেখবে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে CWC জানায় তারা মাত্র ১৯.৪ কিমি কাজ দেখবে। এর পর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ও ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীকে দুই বার চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙ্গন নিয়ে কেন্দ্রের সাহায্য চাওয়া হয়। এরপর বাংলা, বিহার, ঝাড়খন্ডের প্রতিনিধিরা গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশন, CWC ও ফারাক্কা ব্যারেজ অথরিটি বৈঠক করে। CWC সিদ্ধান্ত নেয় ২০২৪ সালে ১৫৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। আজ অবধি সেই টাকা আসেনি।

advertisement

Flood Management Border Area Programme জানায়, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে ২১৩২ কোটি ২২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বাংলা ও বিহারে। বাংলায় প্রয়োজন ১৫৫০ কোটি টাকা ও বিহারের জন্য ৫৮১ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি ঝাড়খন্ড ও বিহারের সাথে সচিব পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। ৬১০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। তবে আগামী দিনে সমস্যার সমাধান না হলে পাল্টে যাবে ভৌগোলিকভাবে অবস্থান। নিশ্চিন্ন হয়ে যাবে ভাঙন কবলিত এলাকার বিভিন্ন গ্রাম।

advertisement

কৌশিক অধিকারী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Ganga Erosion Damage Report: ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে ৪১৩ গ্রাম! মালদা, মুর্শিদাবাদের গঙ্গা ভাঙন নিয়ে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট, ঘুম উড়াচ্ছে আরও এক ভবিষ্যদ্বাণী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল