জানা গিয়েছে, ২০০৫ সাল থেকে ২০২৫ সালের মে মাস অবধি মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ২৫৩৫৩ বিঘা জমি জলের তলায় চলে গেছে। এছাড়াও জলের তলায় চলে গিয়েছে মালদার ২১৮ গ্রাম ও মুর্শিদাবাদের ১৯৫ গ্রাম। ফারাক্কা ব্যারেজ এলাকায় ভাগীরথী-গঙ্গা চলে এসেছে ৩ কিমি’র মধ্যে। ফুলহার ও কোশীর মধ্যে রতুয়া-এক ব্লকে দূরত্ব কমে চলে এসেছে ৭০০ মিটার। যে কোন সময় এই নদী একসঙ্গে চলে এলে বিপদ আরও বাড়বে আশঙ্কা রাজ্যের।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় ঘুরছে চোখ ধাঁধানো প্রেম প্রবাহিনী রথ! কেন এমন আয়োজন, কি রয়েছে এই রথে
শুধু তাই নয়, ভাঙনের জেরে মালদার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাট্টা দেওয়া হয়েছে ২৫৯৯ জনকে। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাট্টা দেওয়া হয়েছে ১০৩ জনকে। মালদা জেলায় বাংলার বাড়ি দেওয়া হয়েছে ১৭৩২ জনকে। মুর্শিদাবাদ জেলায় বাংলার বাড়ি দেওয়া হয়েছে ৫২৬ জনকে। পরিসংখ্যান ও তথ্য অনুযায়ী ফরাক্কা ব্যারেজকে শেষবার টাকা দেওয়া হয়েছিল ২০১২ সালের ১৯ মার্চ। ৯৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
২০০৫-২০১৭ সালের জুন মাস অবধি সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন জানিয়েছিল, ১২০ কিমি ফারাক্কা ব্যারেজের মাধ্যমে ভাঙ্গনের কাজ দেখবে। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে CWC জানায় তারা মাত্র ১৯.৪ কিমি কাজ দেখবে। এর পর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ও ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীকে দুই বার চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙ্গন নিয়ে কেন্দ্রের সাহায্য চাওয়া হয়। এরপর বাংলা, বিহার, ঝাড়খন্ডের প্রতিনিধিরা গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশন, CWC ও ফারাক্কা ব্যারেজ অথরিটি বৈঠক করে। CWC সিদ্ধান্ত নেয় ২০২৪ সালে ১৫৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। আজ অবধি সেই টাকা আসেনি।
Flood Management Border Area Programme জানায়, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে ২১৩২ কোটি ২২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বাংলা ও বিহারে। বাংলায় প্রয়োজন ১৫৫০ কোটি টাকা ও বিহারের জন্য ৫৮১ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি ঝাড়খন্ড ও বিহারের সাথে সচিব পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। ৬১০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। তবে আগামী দিনে সমস্যার সমাধান না হলে পাল্টে যাবে ভৌগোলিকভাবে অবস্থান। নিশ্চিন্ন হয়ে যাবে ভাঙন কবলিত এলাকার বিভিন্ন গ্রাম।
কৌশিক অধিকারী