Handicrafts: শিল্পের খনি বলা হয় 'এই' জেলাকে! শিল্পীদের হাতের জাদুতে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না, এক ক্লিকে দেখুন ঝলক

Last Updated:
Bankura Handicrafts: শিল্পের খনি হল বাঁকুড়া। জেলায় রয়েছে শতাধিক হস্তশিল্প। এই হস্তশিল্পগুলিই বাংলার ঐতিহ্য। শীতের শুরুতেই শিল্পীরা শুরু করে দেন প্রস্তুতি। বাঁকুড়ার মুখ্য হস্তশিল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি তুলে ধরা হল...
1/6
শিল্পের খনি বাঁকুড়া, বাঁকুড়ায় যদি শিল্প সন্ধানে বের হন তাহলে বুঝতে পারবেন যে বাঁকুড়া জেলায় রয়েছে শতাধিক হস্তশিল্প। এই হস্তশিল্পগুলি বাংলার ঐতিহ্য। শীতের শুরুতেই হস্তশিল্পীরা শুরু করে দেন প্রস্তুতি। জেলার মুখ্য হস্তশিল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি তুলে ধরা হল। (ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)
শিল্পের খনি বাঁকুড়া, বাঁকুড়ায় যদি শিল্প সন্ধানে বের হন তাহলে বুঝতে পারবেন যে বাঁকুড়া জেলায় রয়েছে শতাধিক হস্তশিল্প। এই হস্তশিল্পগুলি বাংলার ঐতিহ্য। শীতের শুরুতেই হস্তশিল্পীরা শুরু করে দেন প্রস্তুতি। জেলার মুখ্য হস্তশিল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি তুলে ধরা হল। (ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)
advertisement
2/6
ইতিহাস গবেষক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাঁকুড়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কামারপাড়া, লালবাজার। একসময় এই জায়গায় বাস ছিল ২০০ কাঁসা শিল্পী পরিবারের। সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০এ। তবে কাঁসা দ্রব্য বানাতে সিদ্ধ হস্ত এই কর্মকার পরিবার গুলির আদী বাসস্থান মল্লভূম বিষ্ণুপুর। কথিত আছে, মা মৃন্ময়ীর পুজোর অষ্টমীর দিন প্রথা অনুযায়ী রাজ পরিবারের তোপ দেগে পুজো শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে কর্মকারদের তোপ দেগে যায় রাজার আগে। ক্ষুব্ধ রাজার কবল থেকে বাঁচতে বিষ্ণুপুর ছেড়ে প্রথমে অযোধ্যা গ্রাম হয়ে বাঁকুড়ায় আসেন কর্মকার পরিবার। তারপর থেকেই বাঁকুড়া শহরের অন্যতম প্রাচীন পল্লী কামারপাড়ায় তৈরি হয়ে আসছে কাঁসার ঘটি, বাটি এবং থালা। 
ইতিহাস গবেষক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাঁকুড়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কামারপাড়া, লালবাজার। একসময় এই জায়গায় বাস ছিল ২০০ কাঁসা শিল্পী পরিবারের। সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০এ। তবে কাঁসা দ্রব্য বানাতে সিদ্ধ হস্ত এই কর্মকার পরিবার গুলির আদী বাসস্থান মল্লভূম বিষ্ণুপুর। কথিত আছে, মা মৃন্ময়ীর পুজোর অষ্টমীর দিন প্রথা অনুযায়ী রাজ পরিবারের তোপ দেগে পুজো শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে কর্মকারদের তোপ দেগে যায় রাজার আগে। ক্ষুব্ধ রাজার কবল থেকে বাঁচতে বিষ্ণুপুর ছেড়ে প্রথমে অযোধ্যা গ্রাম হয়ে বাঁকুড়ায় আসেন কর্মকার পরিবার। তারপর থেকেই বাঁকুড়া শহরের অন্যতম প্রাচীন পল্লী কামারপাড়ায় তৈরি হয়ে আসছে কাঁসার ঘটি, বাটি এবং থালা। 
advertisement
3/6
ঝকঝকে কাঁসার থালায় ভাত খাওয়ার একটা রাজকীয় আনন্দ রয়েছে। তবে কাঁসার থালা যতটা উজ্জ্বল ঠিক ততটাই কঠিন এই থালা বানানো। কানা নিচু থালা আবার কানা উঁচু থালা। ভাত খাওয়ার থালা আবার মুড়ি খাওয়ার থালা। সব রকমের থালা পেয়ে যাবেন বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুড়া গ্রামে।
ঝকঝকে কাঁসার থালায় ভাত খাওয়ার একটা রাজকীয় আনন্দ রয়েছে। তবে কাঁসার থালা যতটা উজ্জ্বল ঠিক ততটাই কঠিন এই থালা বানানো। কানা নিচু থালা আবার কানা উঁচু থালা। ভাত খাওয়ার থালা আবার মুড়ি খাওয়ার থালা। সব রকমের থালা পেয়ে যাবেন বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুড়া গ্রামে।
advertisement
4/6
১৫০ বছর বা আবার কেউ বলেন তারও বেশি। তবে দিন ,মাস এবং বছরের হিসেবে সময় যাই হোক না কেন, দীর্ঘ এই যাত্রা পথে একটু একটু করে বদলেছে বিকনার ডোকরা শিল্পীদের কাজের ধরণ। এক সময় যেখানে লক্ষ্মীর ভাঁড়, চাল মাপার পাই, কিংবা হাতি, ঘোড়া এবং দেবদেবীর মূর্তি তৈরির কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, আজ তার পরিধি অনেক বেড়েছে। 
১৫০ বছর বা আবার কেউ বলেন তারও বেশি। তবে দিন ,মাস এবং বছরের হিসেবে সময় যাই হোক না কেন, দীর্ঘ এই যাত্রা পথে একটু একটু করে বদলেছে বিকনার ডোকরা শিল্পীদের কাজের ধরণ। এক সময় যেখানে লক্ষ্মীর ভাঁড়, চাল মাপার পাই, কিংবা হাতি, ঘোড়া এবং দেবদেবীর মূর্তি তৈরির কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, আজ তার পরিধি অনেক বেড়েছে। 
advertisement
5/6
বিষ্ণুপুরের দশাবতার তাস যাতে রয়েছে বিষ্ণুর দশটি রুপ যা একসময় মল্লরাজাদের আমলে এই তাস দিয়ে খেলা হত। এই তাসে দশ অবতারের ছবি থাকায় এর মান দশাবতার ওরক। তাস খেলার মতো হওয়ায় পরবর্তীতে দশাবতার ওরক দশাবতার তাস নামে পরিচিত হয়। 
বিষ্ণুপুরের দশাবতার তাস যাতে রয়েছে বিষ্ণুর দশটি রুপ যা একসময় মল্লরাজাদের আমলে এই তাস দিয়ে খেলা হত। এই তাসে দশ অবতারের ছবি থাকায় এর মান দশাবতার ওরক। তাস খেলার মতো হওয়ায় পরবর্তীতে দশাবতার ওরক দশাবতার তাস নামে পরিচিত হয়। 
advertisement
6/6
দশাবতার তাস তৈরির পদ্ধতিটি বেশ সময়সাপেক্ষ। প্রথমে তিনটি সুতির কাপড় তেঁতুলের বীজের আঠা দিয়ে আটকাতে হয়। এরপর এটি ভালোভাবে রৌদ্রে শুকিয়ে নিয়ে খড়িমাটি ও আঠার মিশ্রণকে নিখুঁতভাবে ওই কাপড়ের দু'পাশে প্রলেপ দিতে হয়। খড়িমাটির প্রলেপ দেওয়া কাপড়টিকে আবার রোদে শুকিয়ে নোড়া দিয়ে ঘসে মসৃণ করতে হয়। পরে কাপড়টিকে চার ইঞ্চি ব্যাসে চক্রাকারে কেটে নিতে হয়। শুকিয়ে যাওয়ার পর চার ইঞ্চি ব্যাসে তাস কেটে নেওয়া হয়। তার পর রং দেওয়ার পালা। সূক্ষ্ম তুলির কাজ। শিল্পী নিপুণ হাতে দশ অবতারের চিত্র ও প্রতীক এঁকে দেন ওই কাপড়ে। এই তাস অঙ্কনে পুরোটাই প্রাকৃতিক রঙ ও প্রাকৃতিক আঠা ব্যবহার করা হয়। পাঁচ জন তাসুড়ের খেলা। সময় অনুযায়ী খেলার ধাঁচ পরিবর্তন হয়। (ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)
দশাবতার তাস তৈরির পদ্ধতিটি বেশ সময়সাপেক্ষ। প্রথমে তিনটি সুতির কাপড় তেঁতুলের বীজের আঠা দিয়ে আটকাতে হয়। এরপর এটি ভালোভাবে রৌদ্রে শুকিয়ে নিয়ে খড়িমাটি ও আঠার মিশ্রণকে নিখুঁতভাবে ওই কাপড়ের দু'পাশে প্রলেপ দিতে হয়। খড়িমাটির প্রলেপ দেওয়া কাপড়টিকে আবার রোদে শুকিয়ে নোড়া দিয়ে ঘসে মসৃণ করতে হয়। পরে কাপড়টিকে চার ইঞ্চি ব্যাসে চক্রাকারে কেটে নিতে হয়। শুকিয়ে যাওয়ার পর চার ইঞ্চি ব্যাসে তাস কেটে নেওয়া হয়। তার পর রং দেওয়ার পালা। সূক্ষ্ম তুলির কাজ। শিল্পী নিপুণ হাতে দশ অবতারের চিত্র ও প্রতীক এঁকে দেন ওই কাপড়ে। এই তাস অঙ্কনে পুরোটাই প্রাকৃতিক রঙ ও প্রাকৃতিক আঠা ব্যবহার করা হয়। পাঁচ জন তাসুড়ের খেলা। সময় অনুযায়ী খেলার ধাঁচ পরিবর্তন হয়। (ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)
advertisement
advertisement
advertisement