Snake Rescue: গোখরোর ছোবলও হজম করেছেন! সাপের বন্ধু, বীরভূমের গর্ব, বিষধরদের নিয়ে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়ছেন, চিনুন অমিতকে
- Published by:Aishwarya Purkait
- hyperlocal
- Reported by:Sudipta Garain
Last Updated:
Snake Rescue: গোখরোর ছোবল খেয়েও থামেননি অমিত শর্মা। দুবরাজপুরের এই তরুণ আজ সাপের বন্ধু। সাপ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা নানা কুসংস্কার ভাঙার যোদ্ধা তিনি। সমাজের প্রতি তাঁর নিঃস্বার্থ অবদান তাঁকে বীরভূমের গর্ব করে তুলেছে।
advertisement
1/5

সাপে আতঙ্ক নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই আতঙ্ক থেকেই প্রতিনিয়ত নিরীহ, নির্দোষ সাপগুলিকে পিটিয়ে মারা হয়। বীরভূমের দুবরাজপুরও একসময় তার ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই চিত্রটা আমূল বদলে গিয়েছে। আর এই পরিবর্তনের নেপথ্যে রয়েছেন এক অনন্য মানুষ। দুবরাজপুরের দরবেশপাড়ার বাসিন্দা অমিত শর্মা। (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
advertisement
2/5
অমিত পেশায় একজন জিম প্রশিক্ষক। তার পরিচালিত জিমে এলাকার বহু তরুণ-যুব আজ স্বাস্থ্য সচেতনতার পথে হেঁটেছে। তবে অমিতের পরিচয় শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি একজন সর্পপ্রেমী ও পরিবেশরক্ষার সৈনিক। ছোটবেলা থেকেই সাপের প্রতি অমিতের এক অদ্ভুত টান ছিল, যা পরিণত হয়েছে গভীর সহানুভূতি ও ভালোবাসায়।
advertisement
3/5
অন্যরা যেখানে সাপ দেখলে আতঙ্কে পিছিয়ে যান, সেখানে অমিত নির্ভয়ে এগিয়ে যান তাকে রক্ষা করতে। কোন বাড়িতে সাপ বেরোলেই এলাকার মানুষ একটাই নাম উচ্চারণ করেন 'অমিতকে ডাকো'। মাত্র একটি ফোন কলেই অমিত হাজির হয়ে যান হাতে সাপ ধরার আঁকশি নিয়ে। ধরা পড়া সাপকে তিনি কখনও বনদফতরের হাতে তুলে দেন, কখনও বা ছেড়ে দেন কোন নির্জন, নিরাপদ স্থানে।
advertisement
4/5
২০২৪ সালের জুন মাসে গোখরো সাপ ধরতে গিয়ে নিজেই সাপের কামড়ে গুরুতর জখম হন অমিত। দীর্ঘ চারদিন তিনি হাসপাতালের আইসিইউ-তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছেন। এলাকার মানুষ তাঁর জন্য প্রার্থনা করেছেন। সকলে ভেবেছিলেন, হয়তো তিনি আর কখনও সাপ ধরবেন না। কিন্তু হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফেরার পর অমিত সবাইকে অবাক করে আবারও সেই পুরনো নেশায় ফিরে যান, সাপ বাঁচানোর কাজে।
advertisement
5/5
অমিতের অকৃত্রিম ভালবাসা ও সমাজসেবামূলক উদ্যোগে আজ দুবরাজপুর ও সংলগ্ন এলাকায় সাপ নিয়ে আতঙ্ক অনেকটাই কমে গিয়েছে। এখন মানুষ সাপে কামড়ালে ওঝা বা গুনিনের কাছে না গিয়ে সরাসরি হাসপাতালে যান। অমিত শুধু সাপ ধরেন না, সাপ নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধেও নিরলস প্রচার চালান। নিজের কাজ সম্পর্কে অমিত বলেন, "সাপও প্রকৃতির সন্তান। ওরা কাউকে অকারণে আঘাত করে না। মানুষই অজ্ঞানতার কারণে ওদের মারে।" নিঃস্বার্থভাবে বছরের পর বছর ধরে এই কাজ করে চলেছেন অমিত। সমাজের প্রতি তাঁর এই অবদান তাঁকে সত্যিই বীরভূমের গর্ব করে তুলেছে। (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Snake Rescue: গোখরোর ছোবলও হজম করেছেন! সাপের বন্ধু, বীরভূমের গর্ব, বিষধরদের নিয়ে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়ছেন, চিনুন অমিতকে