কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী তাম্রলিপ্ত অধুনা তমলুক শহর। রূপনারায়ণ নদের পাড়ে অবস্থিত এই শহর। এবার এই রূপনারায়ণ নদীর পাড়েই পৌরসভার উদ্যোগে গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুব ইচ্ছে ছিল পার্থর, বাধ সাধেন জ্যোতিপ্রিয়! গ্রেফতার দুই নেতার ‘লড়াইয়ে’ নেত্রী হওয়া হল না অর্পিতার
এককালের বাণিজ্য বন্দর ছিল তাম্রলিপ্ত শহর। তাম্রলিপ্ত বন্দর থেকে এশিয়ার পাশাপাশি সারাবিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য হত। রূপনারায়ণ নদের কুলে ভিড় করতো তৎকালীন সময়ে বণিকদের পালতোলা নৌকো ও জাহাজ। এই শহরের সুখ্যাতি কারণে বিভিন্ন চেনা পরিব্রাজকরা বিভিন্ন সময় ভ্রমণ করেছেন। এমনকি তাদের সেই অভিজ্ঞতার কথা লিপিবদ্ধ করেছেন তাদের ভ্রমণ কাহিনীতে।
advertisement
আরও পড়ুন: নিজের কপালের ভাঁজ কি কখনও খুঁটিয়ে লক্ষ্য করেছেন? এর মধ্যেই লুকিয়ে আপনার ব্যক্তিত্ব, জানুন
এছাড়াও রূপনারায়ণদের তীরে এই তাম্রলিপ্ত শহর থেকে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সিংহল যাত্রা করেছিলেন সম্রাট অশোকের পুত্র ও কন্যা। বন্দরনগর তাম্রলিপ্তের অতীত গৌরব কালের গর্ভে বিলীন। এই প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরে প্রতি শুক্লপক্ষে পৌরসভার উদ্যোগে রূপনারায়ণ পাড়ে গঙ্গা আরতির আয়োজিত হবে।
প্রাচীন শহরের সেই পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া প্রয়াস বর্তমান তাম্রলিপ্ত পৌরসভার পৌর বোর্ড। এর পাশাপাশি তমলুক শহরকে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত রূপনারায়ণ নদের তীরবর্তী এলাকার সৌন্দার্যয়নে জোর দিয়েছে তাম্রলিপ্ত পৌরসভা। তারই অঙ্গ হিসাবে প্রতি শুক্লপক্ষে দিনগুলিতে রূপনারায়ণ নদের পাড়ে গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান জানান, ‘তাম্রলিপ্তের গৌরব ঐতিহ্য কারোরই অজানা নয়। রূপনারায়ণ নদের পাড়ে এই তাম্রলিপ্ত শহরের সৌন্দার্যয়নে বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে প্রতি শুক্লপক্ষের দিনগুলিতে গঙ্গা আরতি করা।’ প্রসঙ্গত বর্তমান পৌর বোর্ড তাম্রলিপ্ত অধুনা তমলুক শহরের প্রাচীন ঐতিহ্য এখনকার প্রজন্মর কাছে তুলে ধরতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। এবার সেই উদ্যোগে যোগ হল গঙ্গা আরতি।
সৈকত শী