এবারের পুজোর মূল আকর্ষণই হল মণ্ডপ। নেপালের বিখ্যাত জনকপুরে অবস্থিত জানকী মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে এই পুজো প্যান্ডেল দর্শনার্থীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। অপূর্ব কারুকার্য ও নান্দনিক শৈলিতে তৈরি এই মণ্ডপ যেন নেপালের ঐতিহাসিক সৌন্দর্যের এক প্রতিচ্ছবি।
আরও পড়ুনঃ বিগ বাজেটের গণেশ পুজো, থিমের ছড়াছড়ি! মন ভরে গণপতি দর্শন করতে চলে আসুন মেদিনীপুরের ‘এই’ এলাকায়
advertisement
চলতি বছরের পুজোয় বাজেট ছুঁয়েছে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা। পারবেলিয়া সরস্বতী ক্লাবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হওয়া এই পুজো শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়, এক বিশাল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। মণ্ডপ চত্বরজুড়ে বসেছে বিশাল মেলা। সেখানে নানা রকম দোকান, খাদ্য স্টল ও বিনোদনের আয়োজন রয়েছে। আগামী ১০ দিন ধরে চলবে এই পুজো। একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ যাত্রাপালা ও নৃত্য-গীতের পরিবেশনা হবে। পুজোকে কেন্দ্র করে চলবে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজো কমিটির কনভেনার শান্তি ভূষণ যাদব জানান, ‘প্রতিবছর আমরা পুজোয় নতুনত্ব আনতে চেষ্টা করি। নেপালের জানকী মন্দিরের আদলে এবারের মণ্ডপ নির্মাণ সেই প্রচেষ্টারই একটি অংশ। আমরা চাই, পুরুলিয়াবাসী সহ রাজ্যবাসী যেন এখানে এসে এক নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করেন’। পুরুলিয়ার মতো জেলায় এত বড় পরিসরে গণেশ পুজোর আয়োজন নিঃসন্দেহে অনন্য। পারবেলিয়ার এই পুজো এখন শুধুই একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে, যা বছরের পর বছর আরও বৃহৎ আকার ধারণ করছে।