পালযুগে বিগ্রহপালের মৃত্যুর পর কৈবর্ত শাসনের সময়ে সাময়িকভাবে বঙ্গের বর্মণবংশের অধিকারে ছিল এই জজান অঞ্চল। জজান গ্রামে আছে মা সর্বমঙ্গলার মন্দির। বর্তমান মন্দিরটি সম্ভবত অষ্টাদশ শতকে নির্মিত। তবে মাতৃপীঠের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। মন্দির থেকে প্রাপ্ত একটি শিলালিপি থেকে জানা যায় ৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে জজানের পাশের গ্রাম বৈদ্যপুর অধিবাসী রামেশ্বর দত্ত নামে জনৈক বণিক বৈদ্যপুরের পাশে দেবীপুরে দেবী সর্বমঙ্গলার মূর্তি ও মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : পয়লা বৈশাখে মাত্র ১১ টি আতপচাল দিয়ে করুন এই কাজ! নতুন বছরে উপচে পড়বে টাকা, সৌভাগ্য ও সংসারে শান্তি
বর্তমানে অবশ্য সর্বমঙ্গলা পূজিত হন একটি মাতৃশিলায়।বিভিন্ন জায়গায় শিবের গাজন অনুষ্ঠিত হলেও এই গ্রামে মাকালীর বিগ্রহ নিয়ে গ্রাম পরিক্রমা করা হয়। রাত বারোটা থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত ভক্তদের কাঁধে চেপে পালকিতে গ্রাম পরিক্রমা করা হয়। আগে গ্রামে রাস্তায় পথবাতি ছিল না, ফলে মশাল জ্বেলেই গ্রাম পরিক্রমা করা হত। আজ পথবাতি হলেও সেই মশাল জ্বেলে মা সর্বমঙ্গলার বিগ্রহ গ্রামে পরিক্রমা করানো হয়। যা দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষজন।