ক্ষুদিরাম বসুর অস্ত্রগুরু ছিলেন হেমচন্দ্র কানুনগো। স্বয়ং কাজী নজরুল ইসলাম তাঁকে অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য হেমচন্দ্র কানুনগো নামে অভিহিত করেছিলেন। সকলেই তাঁকে বিপ্লবী হিসেবে চেনেন। একাধারে ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী, অন্যদিকে লিখেছেন বই। তবে জানেন কি হেমচন্দ্র কানুনগো একজন জমিদারও ছিলেন? নির্দিষ্ট সময়ে জমিদারি সামলেছেন তিনি। গবেষকদের একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। হেমচন্দ্র কানুনগোর বিপ্লবীসত্ত্বার বিপরীতে থাকা জমিদার হেমচন্দ্রকে চিনে নেওয়া যাক।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম রাধানগরে জন্ম হেমচন্দ্রের। তিনি প্রথম ভারতীয় যিনি বিদেশে গিয়ে অস্ত্রশিক্ষা ও বোমা তৈরি কৌশল শিখেছিলেন, গবেষকরা এমনটাই দাবি করেন। বিপ্লবী হেমচন্দ্র ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিল্পী। এই ব্যক্তিত্বই একসময় সামলেছেন জমিদারিত্ব। হেমচন্দ্রের বাবা ক্ষেত্রমোহন দাস কানুনগো তৎকালীন সময়ের এক প্রখ্যাত জমিদার ছিলেন। তিনি ওড়িশার খুড়দা এলাকার জমিদার ছিলেন। পরে খাকুড়দায় চলে আসেন। এখানে এসেও জমিদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। সেইসময় নারায়ণগড় ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ছিল দাস-কানুনগো জমিদারের অধীনে।
বাবার পরবর্তীতে জমিদারিত্ব সামলেছিলেন হেমচন্দ্র। বিভিন্ন খাজনা রশিদে এখনও তাঁর স্বাক্ষর মেলে। পরবর্তীতে দেশের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করায় স্ত্রী শরৎ কুমারী দেবীর উপর জমিদারিত্বের দায়িত্ব অর্পণ করেন। তিনি বেশ অনেকটা সময় দাস-কানুনগো পরিবারের জমিদারিত্ব সামলেছেন। বাবার উত্তরসূরী হিসেবে পাওয়া এই জমিদারিত্ব বিপ্লবী আন্দোলনে অনেকটাই সাহায্য করেছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হেমচন্দ্র কানুনগো বিপ্লবীদের শিখিয়েছিলেন বোমা তৈরির কৌশল। হয়েছে দ্বীপান্তর, কারাবাসও। তবে বর্তমান দিনে প্রচারের আড়ালে অনালোকিত এই বিপ্লবী। তাই হয়তো বিপ্লবী হেমচন্দ্রের আরেক সত্ত্বা জমিদার হেমচন্দ্র কানুনগো আজও অনেকের অজানা।