পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত শাঁকারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতেরই উপ প্রধান জাহাঙ্গির শেখ। জাহাঙ্গিরের বাড়ি খণ্ডঘোষের কেশবপুর গ্রামে। এই জাহাঙ্গিরেরই বাড়ির প্রায় প্রতিটি সদস্যের নাম উঠে এসেছে আবাস যোজনার বাড়ি প্রাপকদের তালিকায়। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের বাড়ির কাছেই পরীক্ষাকেন্দ্র, টেট মিটতেই বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
advertisement
ঘটনার সরেজমিন তদন্ত করতে গিয়ে প্রদি পদে পদে অবাক হচ্ছেন প্রশাসনিক কর্মীরা। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আবাস যোজনার তালিকায় জাহাঙ্গির শেখের স্ত্রী সীমা শেখ, প্রয়াত বাবা শেখ মহসিন, দুই ভাই আলমগির শেখ এবং আজমগির শেখের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। তদন্ত করে আবাস যোজনার তালিকা থেকে ওই চার জনের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আজ সেই ১২ ডিসেম্বর, মিলবে শুভেন্দুর ভবিষ্য়দ্বাণী? বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে
আবাস যোজনার নিয়ম অনুয়াযী, যাঁরা গৃহহীন বা কাঁচাবাড়ির মালিক, তাঁরা এই সরকারি আবাস যোজনায় প্রকল্পে পাকা ঘর পান। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দিতে সেই সব বাসিন্দাদের নাম নথিভুক্ত করা হয় তালিকায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তো কিছুই মিলছে না। চারতলা বিশাল বাড়ির মালিকের পরিবারের চারজনের নাম সরকারি আবাস যোজনার তালিকায় কী ভাবে উঠে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
সম্প্রতি, রাজ্যজুড়ে আবাস যোজনা নিয়ে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। তারপরেই, প্রাপকদের নামের তালিকা যাচাই করতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। বিভিন্ন স্তরে সরেজমিন পরিদর্শন করে তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই যাচাইয়ের সূত্র ধরেই খণ্ডঘোষ ব্লকে শাঁকারি-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের পরিবারের চারজনের তালিকায় নাম থাকার বিষয়টি সামনে আসে।
এ ব্যাপারে ওই উপ প্রধান বলেন, "আমি তৈরি শুরু করেছি ২০২০ সালে। ওই তালিকা ২০১৬ সালের। তালিকায় আমার নাম নেই। আমার স্ত্রী সহ চারজনের নাম কী ভাবে ওই তালিকায় উঠেছিল তা জানি না। জানা মাত্র বিডিওর কাছে নাম বাতিলের আবেদন জানিয়েছি। প্রশাসনের কর্মীরা সেই নাম বাতিল করে দিয়েছে।"