আরও পড়ুন: বন দফতরের ‘জুলুম’, সুন্দরবনে মাছ-কাঁকড়া ধরতে দেওয়ার দাবি
হুগলির এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলে পড়ুয়া কমতে কমতে সংখ্যাটা একশোর নিচে নেমে এসেছে। যত জন ছাত্রী আছে তারাও অনিয়মিত। আগামী দিনে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় চুঁচুড়ার মিয়ারবেড় (পিয়ারাবাগান) সারদামনি গার্লস হাইস্কুল। এই অবস্থায় ঠিক হয়েছে, প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রাক্তনীরা।
advertisement
এক সময় অন্য স্কুলের ফেল করা ছাত্রীরা টিসি নিয়ে সারদামনী স্কুলে ভর্তি হত। স্কুলের দিদিমনিদের দায়িত্ব ছিল তাঁদের ভাল করে পড়িয়ে মাধ্যমিক পাশ করানো। আর সেই কাজ সাফল্যের সঙ্গেই করছিলেন স্কুলের শিক্ষিকারা। সেই স্কুল থেকেই পড়াশোনা করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন অদিতি গাইন। সারদামনি স্কুলে এক সময় সাড়ে তিনশো ছাত্রী ছিল।কিন্তু বর্তমানে সংখ্যাটা মোটে ৯২। সেই ছাত্রীরাও নিয়মিত স্কুলে আসে না। কারা কারা স্কুলে অনুপস্থিত তা দেখে ফোন করে স্কুলে ডেকে আনা দিদিমনিদের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ডালিয়া মুখোপাধ্যায় জানান, মোবাইলে রিল বানিয়ে ক্লান্ত হয়ে পরে ছাত্রীদের একাংশ। পরদিন আর স্কুলে আসতে পারে না।অভিভাবকদের বুঝিয়ে বলছি, কিন্তু কাজ হয় না।আমার স্কুলে বেশিরভাগ গরিব মেয়ে পড়ে। তাদের মধ্যেও মেধা আছে। আমরা চেষ্টা করি আলাদা করে গাইড করতে। স্কুলের প্রাক্তনীরা জানান, তাঁরা যখন পরেছেন স্কুলের শিক্ষিকারাই সব শিখিয়ে দিতেন।আলাদা করে টিউশন নিতে হত না।
আরও পড়ুন: আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
প্রাক্তনী প্রতিমা সরকার ও সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুন্ডুরা বলেন, স্কুলের আজ প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রথম বার আমরা স্কুলের জন্মদিনটাকে বেছে নিয়েছি পুনর্মিলনের জন্য। বর্তমানে প্রাক্তনীরা সবাই মিলে নানা অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারনা করেন, খাওয়া-দাওয়া করেন সারাদিন। তবে স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা কমছে দেখে খারাপ লাগছে। তাঁদের আশঙ্কা যেভাবে চলছে তাতে এভাবে চললে হয়ত স্কুলটা একদিন বন্ধ হয়ে যাবে। তাই স্কুল বাঁচাতে এখন হাল ধরার কথা ভাবছেন প্রাক্তনীরা।
রাহী হালদার