আরও পড়ুন: দু’বছর পর শিলিগুড়িতে শুরু নাট্যমেলা
বাঁকুড়ার গোয়েঙ্কা বিদ্যায়তনের বাংলা বিভাগের শিক্ষক আলোক মণ্ডল। আজ থেকে প্রায় আড়াই দশক আগে ক্যান্সারের সঙ্গে তাঁর লড়াই শুরু হয়েছিল। চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করতে গিয়ে চোখে ধরা পড়ে ক্যান্সার। অপারেশন হয়। কিন্তু এবার ক্যান্সার পৌঁছে যায় বাম চোখে। তারপর কিডনির একটু উপরে এবং গলায়। এই শিক্ষকের শরীরের একাধিক জায়গায় কর্কট রোগ ছড়িয়ে পড়ে। মারণ রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি কার্যত সর্বশান্ত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়েই শরীরে টিউমার নিয়ে ফিরে আসেন বাঁকুড়ার বাড়িতে। এরপর কলকাতায় শুরু করেন ক্যান্সার চিকিৎসা।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কিন্তু এখানে চিকিৎসায় সন্তুষ্ট না হয়ে পাড়ি দেন মুম্বই। সেখানে ছ’টা কেমোথেরাপি এবং ১১৪ টা রেডিয়েশন এবং প্রায় ৮-৯ বছরের শারীরিক এবং মানসিক লড়াইয়ের পর অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন অলোকবাবু। এই যুদ্ধে পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী হীরামনি মণ্ডল। আলোকবাবু বাড়ি ফিরে এসে বাঁকুড়া লাইফ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক এক সংগঠন গড়ে তোলেন।
বরাবরই কবিতা ভালোবাসেন শিক্ষক আলোক মণ্ডল। বাংলা সাহিত্যের প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা। চেন্নাইয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে দিনে প্রায় ২৪ ঘণ্টাই শুয়ে থাকতে হত তাঁকে। সেই সময় তিনি লিখেছিলেন বেশ কিছু কবিতা। মোট ১১টি কবিতার বই রয়েছে এই প্রাক্তন শিক্ষকের। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার পিছনে মানসিক জোর ও পরিবারের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী