যে বৃদ্ধের কথা বলা হচ্ছে, তিনি সুহৃদ দত্ত৷ সিঙ্গুরের তাপসী মালিক হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্তের অন্যতম ৭৫ বছরের সুহৃদবাবু৷ একদা সিপিএমের সিঙ্গুর জোনাল সেক্রেটারি সুহৃদ দত্ত এখন নানা রোগে জর্জরিত, হাঁটাচলার শক্তি হারিয়েছেন৷ স্পষ্ট কথাও বলতে পারেন না৷ তাঁর বিরুদ্ধে যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে কথাও বাড়াতে চান না৷ শুধু সিবিআই-এর প্রসঙ্গ ওঠায় বলেন, 'সিবিআই যে ভাবে আমার ক্ষতি করেছে, তাতে সিবিআই এর তদন্তের প্রতি আমার আস্হা নেই।' রামপুরহাটের ঘটনার প্রসঙ্গে বলেন, 'আমার জানা নেই, কী তদন্ত হবে।'
advertisement
আরও পড়ুন: বগটুই পৌঁছল সিবিআই, পোড়া বাড়িত ঢুকে শুরু তদন্ত, চলছে নমনা সংগ্রহ
২০০৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর সিঙ্গুরে টাটাদের ন্যানো প্রকল্প এলাকার জমির ভিতর থেকে তাপসী মালিকের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেইসময় রাজ্যের বিরোধী নেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ তদন্তে নেমে তাপসী মালিককে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে দুই সিপিএম নেতা সুহৃদ দত্ত ও দেবু মালিককে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ কয়েক বছর জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান দু' জনেই৷ কিন্তু আজও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি৷
আরও পড়ুন: টানা পাঁচ দিন দার্জিলিংয়ে থাকবেন মমতা, পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন মোড়? জোর জল্পনা
ফলে সুহৃদ দত্ত, দেবু মালিকরা প্রকৃত দোষী কি না, সেই প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি৷ সুহৃদবাবুর অভিযোগ, হেফাজতে নিয়ে সিবিআই নারকো অ্যানালিসিস পরীক্ষার করার পর থেকেই চর্ম রোগের জটিল সমস্যা দেখা দেয় তাঁর৷ যা থেকে শরীরে অন্যান্য সমস্যাও দেখা দেয়৷
তাপসী মালিক হত্যার মামলার প্রসঙ্গ উঠলে অসুস্থ সুহৃদবাবু বলেন, 'মৃত্যুর আগেও জেনে যেতে পারব না, ঘটনায় প্রকৃত দোষী না নির্দোষ ছিলাম।'
এ প্রসঙ্গে আর এক অভিযুক্ত সিপিএম নেতা দেবু মালিকের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিকও কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷ তবে মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তরা শাস্তি না পাওয়ায় তিনি য়ে হতাশ, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মনোরঞ্জন বাবু৷
Rana Karmakar