হাওড়া জেলার বন জঙ্গল কমে আসছে। জলাভূমি দখল করে গড়ে উঠছে কলকারখানা। ফলে খাবারের খোঁজে ওরা ঢুঁ মারছে লোকালয়ে। সেই কারণেই এমন ঘটনা বলেই মনে করছেন জেলার পরিবেশ কর্মীরা। যাতে মানুষ ভুলবশত এই বিরল প্রজাতির প্রাণীদের কোনও ভাবে প্রাণে মারার চেষ্টা না করে। সেইদিক গুরুত্ব রেখে বন দফতর ও পরিবেশ কর্মীরা প্রতি নিয়ত চেষ্টা চালাচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: নেমে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে! কেন এমন যা-তা অবস্থা হল সাঁতরাগাছি ঝিলের?
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নতুন বছরের শুরুতেই শ্যামপুর থানার অন্তর্গত ভগবানপুর মাঝেরপাড়ায় শহিদুল ইসলামের পোল্ট্রি ফার্মে কয়েকদিন ধরেই মুরগি খোয়া যাচ্ছিল। ওই ফার্মের মালিক একটি খাঁচা বসায়। তারপর মাঝরাতে খাঁচায় এই বাঘরোলটি ধরা পড়ে। এলাকার স্থানীয় যুবক মিরন মল্লিক খবর দেন পরিবেশ কর্মী শীর্ষেন্দু মাঝি’কে। শীর্ষেন্দু মাঝি এলাকায় পৌঁছে দেখেন বাঘরোল’টি আহত। কাছে থেকে বেরোনোর চেষ্টা করে মুখের সামনে চোট পেয়েছে। তিনি বন বিভাগে খবর দেন। পরে বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাঘরোলটিকে উদ্ধার করে গড়চুমুক প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামানিক বলেন, “বাঘরোলটি আহত ছিল তাই বন বিভাগের উদ্ধারের প্রয়োজন ছিল। সুস্থ হওয়ার পর ওই এলাকায় পুনরায় বাঘরোলটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বন বিভাগ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
রাকেশ মাইতি





