মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান ও হুগলি জেলার একটা বড় অংশে ইদানিং বারে বারেই ডলফিনের দেখা মিলছে। আবার সেই সব ডলফিনের মৃত্যুও হচ্ছে এই এলাকায়। তাই এই ডলফিন বাঁচাতে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার জরুরি বলে মনে করছেন। বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- রাস্তায় নেমে যানজট সামলাচ্ছেন সাংসদ! কাণ্ড দেখে অবাক সকলে, কেন এমন করলেন
advertisement
জানা গিয়েছে ,গাঙ্গেয় ডলফিন সংরক্ষণের জন্য ‘ডলফিন মিত্র’ নামে প্রকল্প চালু করা হবে। আগামী আর্থিক বছর থেকেই গাঙ্গেয় ডলফিন ও অন্যান্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে সম্প্রতি ৯ টি জেলার বন দফতরের অধিকারিকদের নিয়েএকটি বৈঠকের আয়োজন হয়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর শিক্ষা ভবনের এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে ছিলেন বন দফতরের প্রধান (এইচ এফ ও) সৌমিত্র দাশগুপ্ত সহ বিভিন্ন জেলার বনাধিকারিকরা। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মালদা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলার আধিকারিকরা ছিলেন ওই বৈঠকে।
মূলত গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে ডলফিন ও অন্যান্য জলজ প্রাণী যেমন খরিয়াল, ভোঁদরের মতো প্রাণী যারা বাস্তুতন্ত্রের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেগুলিকে সংরক্ষণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ডলফিন সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় মানুষ ও মৎসজীবীদের কাজে লাগানো হবে। তাদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। পাশপাশি, ডলফিন গণনা, গঙ্গার জল পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- পরণে ঘরোয়া পোশাক, হাতে বাজারের ব্যাগ, স্কুটিতে উঠছেন অরিজিৎ সিং, সুপারডুপার হিট
বন দফতরের প্রধান সৌমিত্র দাশগুপ্ত জানান,এই প্রাণী গুলি ধীরে ধীরে লুপ্ত প্রায় হয়ে পড়ছে। এখন শুধুমাত্র বইয়ের পাতায় প্রাণী গুলির উল্লেখ পাওয়া যায়। তাই এই প্রাণী গুলি সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গঙ্গা তীরবর্তী জেলাগুলির বন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। আগামী অর্থবর্ষ থেকেই এই প্রকল্পে কাজ শুরু হবে।