জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের একাধিক বিভিন্ন লোকসংস্কৃতি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি প্রকাশ করেছেন বই। শিক্ষকতা জীবন থেকে বিদ্যালয় পরিদর্শক, দায়িত্ব পরপর কঠিনতর হলেও লেখনি তার বন্ধ হয়নি। তবে অবসর জীবনেও তিনি লেখালেখি চালিয়ে রেখেছেন। এই লেখালেখি এবং বই প্রকাশ যেন তার অবসর যাপনের অক্সিজেন। অবসর নিয়েছেন বেশ কয়েক বছর হল, তবে অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সারাদিন যা যা করেন, জানলে অবাক হবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: তুমুল ঝড়-বৃষ্টির মাঝেই বজ্রপাত! বাবার সামনে ছেলের লাশ! মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী এলাকা
জন্মসূত্রে তিনি জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তিনি ঘুরেছেন জঙ্গলমহলে একাধিক জেলায়। কখনও পুরুলিয়া, আবার কখনও অবিভক্ত মেদিনীপুরে দিন কাটিয়েছেন। তবে বর্তমানে তিনি মেদিনীপুর শহরের স্থায়ী বাসিন্দা। প্রায় ১০ বছরেরও বেশি সময় তিনি অবসর নিয়েছেন। তবে অবসর গ্রহণের পর আরও বেশি করে লেখালেখি করেন বই। তার লেখা বই লোকায়ত সংস্কৃতি, গ্রাম বাংলার রুচি, ভ্রমণ এবং গবেষণাধর্মী। ঝাড়গ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে লিখেছেন বই যা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও জঙ্গলমহল কেন্দ্রিক একাধিক বই প্রকাশ করেছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগ গবেষণামূলক। কর্মব্যস্ত জীবন। ছোট থেকেই তার বই পড়ার প্রতি শখ। সেই শখকে জিইয়ে রেখেছেন অবসরের পরেও। কর্মজীবনে লিখেছেন প্রায় চারটি বই। কর্মজীবনের পরে তার সর্বমোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১৭।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মেদিনীপুরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক মধুপ দে। কর্মজীবনে তিনি প্রাথমিক শিক্ষার নবপর্যায়, সর্বশিক্ষা অভিযান ও কিছু ভাবনা, বিদ্যালয়ে পরিদর্শনের ইতিহাস সম্পর্কে বই লিখেছেন। যা শিক্ষা বিভাগের কাছে এক সম্পদ। এরপর অবশ্য অবসর জীবনে তিনি মূলত ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রিক একাধিক বই প্রকাশ করেছেন। রয়েছে মেদিনীপুরের নানা কথা সম্পর্কিত বইও। রয়েছে উপন্যাস, প্রবন্ধ, এমনকি ভ্রমণ মূলক বই। সকাল থেকে সন্ধ্যা বই এর মধ্যেই সময় কাটে তার। চলে লেখালেখি। নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন পড়াশোনার সঙ্গে। আগামী যুব প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রঞ্জন চন্দ