সূত্রের খবর, গঙ্গারামপুর থানার নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা শিপ্রা সূত্রধর গত তিনদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মহিলা বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। তবে, এদিন হাসপাতালের ডাক্তারবাবুদের নির্দেশে ইকো কার্ডিয়োলজি রিপোর্ট করানোর জন্য তাঁকে নিয়ে যেতে হয় গঙ্গারামপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। রিপোর্ট করে দুপুর নাগাদ হাসপাতালে ফিরে রোগীকে তাঁর নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে গিয়ে হুইল চেয়ার চাওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত গ্রুপ ডি বিভাগের এক কর্মী সেখানে হুইল চেয়ার নেই বলে পুরোনো বিল্ডিংয়ে পাঠিয়ে দেন। রোগীকে হাসপাতালের সামনে জরুরি অবস্থায় রেখেই প্রথমে পুরনো বিল্ডিংয়ে এবং পড়ে ইমারজেন্সি রুমে হুইল চেয়ার আনার জন্য গেলে তাঁর স্বামী সুব্রত সূত্রধরকে যথেষ্ট নিরাশ হতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: আত্রেয়ী নদীর বাঁধে বিপত্তি, এক বছরেই ধসে গেল বাঁধের ৪০ ফুট অংশ,সাসপেন্ড ৬ ইঞ্জিনিয়ার
সেইসময় গ্রুপ ডির এক কর্মী তাঁকে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড জমা রাখার কথা জানান। তবে সেই মুহূর্তে ওই ব্যক্তির কাছে ডকুমেন্ট না থাকায় তাঁর মোবাইল ফোন জমা রেখে ওই কর্মী হুইল চেয়ার দেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী সতর্কতা…! ২৪ ঘণ্টায় ৭ জেলায় ঝড়-জল-দুর্যোগ হুঁশিয়ারি! কী হবে বাংলায়?
এরপরেই মোবাইল জমা রাখার পর হুইল চেয়ার নিয়ে তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে ফিরে যায়। এই ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তবে প্রশ্ন উঠেছে এ কেমন নিয়ম হাসপাতালের! যেখানে জরুরি রোগীর চিকিৎসার জন্য হুইল চেয়ারের পরিষেবা নিতে হলে জমা রাখতে হবে মোবাইল ফোন! পুরো বিষয় নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে গঙ্গারামপুর শহর জুড়ে।