TRENDING:

ময়দানকে টপকে বাংলার ফুটবলার তৈরির কারখানা এখন এই স্কুল!

Last Updated:

২০২৩ সালে প্রথম জাতীয় স্তরে সুযোগ পায় এই স্কুলটি। সেবার সেমি ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল। ২০২৪ সালে অবশ্য কোয়াটার ফাইনালেই পরাজয় বরণ করতে হয়। ফের এই বছর রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হিসাবে জাতীয় স্তরে খেলার সুযোগ এসেছে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঝাড়গ্রাম, তন্ময় নন্দী: স্কুলের নিজস্ব মাঠ নেই। পাশের ক্লাবের মাঠে অনুশীলন করতে হয়। আর তা করেই জাতীয় স্তরের ফুটবল কাঁপাতে চলেছে জঙ্গলমহলের ছেলেরা। এই নিয়ে তিন তিনবার জাতীয় স্তরে সুযোগ পেল জঙ্গলমহলের এই স্কুলের পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য, এবছরই পর পর তিন’বার রাজ্য স্তরের ফুটবল অংশগ্রহণ করেছে ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ। গত বছর অবশ্য জাতীয় স্তরের সেমিফাইনাল ম্যাচে হার স্বীকার করতে হয়েছিল। এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেঙ্গালুরু যাচ্ছে ঝাড়গ্রামের অখ্যাত গ্রামের এই স্কুলটির পড়ুয়ারা।
advertisement

অনূর্ধ্ব ১৫ সুব্রত কাপে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ। ফলে এবার তাদের সুযোগ মিলেছে জাতীয় স্তরের ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের। আর তা নিয়ে এখন থেকেই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে সকলে।

আরও পড়ুন: জেলায় ম্যারাথন! স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন বাংলার ক্রীড়া জগতে ঝড়

২০২৩ সালে প্রথম জাতীয় স্তরে সুযোগ পায় এই স্কুলটি। সেবার সেমি ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল। ২০২৪ সালে অবশ্য কোয়াটার ফাইনালেই পরাজয় বরণ করতে হয়। ফের এই বছর রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হিসাবে জাতীয় স্তরে খেলার সুযোগ এসেছে। চলতি বছরে জঙ্গলমহলের এই স্কুলটির পড়ুয়ারা অনূর্ধ্ব ১৭ সুব্রত কাপের ফাইনালে পরাজিত হলেও অনূর্ধ্ব ১৫ দলটি সুব্রত কাপে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফুটবলে স্কুলটির এই লাগাতার সাফল্যের পিছনে সকলেই মূল কৃতিত্ব দিচ্ছেন শরীর শিক্ষার শিক্ষক নন্দদুলাল ভৌমিক’কে।

advertisement

তিনি প্রতিনিয়ত ছাত্রছাত্রীদের খেলার মান উন্নয়নের চেষ্টা করে চলেছেন। যার সুবাদে স্কুলের ঝুলিতে এসেছে প্রায় ৫৫ টি পুরস্কার। অথচ শুনলে অবাক হবেন এত সাফল্য সত্ত্বেও স্কুলটির নিজস্ব কোন‌ও খেলার মাঠ নেই।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চা বিক্রির টাকায় তিন বছরে ৬৯ হাজার কয়েন! মেয়ের জন্য স্কুটি কিনে চমকে দিলেন বাবা
আরও দেখুন

ঝাড়গ্রামের এই স্কুলের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র ইতিমধ্যেই কলকাতা লিগের বিভিন্ন ডিভিশনে দাপটের সঙ্গে খেলছেন। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সুব্রত মুর্মু, দীপু মাহাত, বীরবল সরেন’রা। গত বছর আই লিগ মাতিয়েছে মেঘনাদ হাঁসদা। সেও এই স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়া। প্রধান শিক্ষক ড. শৈবাল মহাপাত্র বলেন, আমাদের স্কুলের তেমন ফান্ড নেই। ক্রীড়া সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করলে এই সমস্ত প্রতিভাবান ছাত্ররা তাদের প্রতিভা আর‌ও মেলে ধরতে পারবে। বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি, কিন্তু মেলেনি সাহায্য। তাঁর একটাই আর্জি, প্রশাসন একটু এদের দিকে নজর দিক। তাহলে আরও অনেক সাফল্য জঙ্গলমহল থেকে বেরিয়ে আসবে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ময়দানকে টপকে বাংলার ফুটবলার তৈরির কারখানা এখন এই স্কুল!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল