ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে পড়াশোনার সঙ্গে ফুটবল খেলা নিয়ে এগিয়ে চলায় স্বপ্ন ছিল রাজের (struggling footballer)। ৭ বছরের খেলাধুলোর জীবনে নাম করেছেন অনেক। জিতেছেন অনেক ট্রফি ও মেডেল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বাইরেও সুনামের সাথে ফুটবল খেলেছেন তিনি। কিন্তু অভাবের সংসারে পেটের তাগিদে বেছে নিতে হয়েছে উপার্জনের পথ। খেলা ছেড়ে পড়াশোনার পাশাপাশি বাধ্য হয়েই একটি ল্যাবে কাজে নিযুক্ত হয়েছেন রাজ।
advertisement
তবুও ফুটবল সে একেবারেই ছেড়ে দিতে পারেনি। সকাল সকালে মাঠে গিয়ে একটু ফুটবল খেলে কাজে চলে যান রাজ। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে ফুটবল খেলায় আরও বেশি করে সময় দিতে পারতেন বলেই জানান রাজ। জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যস্তর, জাতীয় ও আন্তজার্তিক স্তরে পৌঁছনোর স্বপ্ন ফুটবলার রাজের চোখে। বাবা আবদুল্লা দফাদার পেশায় ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু করোনার কারণে লকডাউনের জেরে কাজ না পেয়ে বাড়িতেই রয়েছেন। নুন আনতে পান্তা ফুরোনো অভাবের সংসারে ছেলের ফুটবল খেলার খরচ যোগাড় করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে তাঁর কাছে।
আরও পড়ুন : বর্ধমানে শুরু হচ্ছে ৪৭ তম জুনিয়র ন্যাশনাল ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ
সরকারি সাহায্য পেলে ছেলে স্বপ্নপূরণের পথে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবে বলে জানান রাজের বাবা। ফুটবল খেলায় সুনামের কারণে জেলার সবাই এক নামে চেনেন রাজকে। অর্থের অভাবে এইভাবে একজন ভাল ফুটবলারের খেলায় ছেদ পড়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরাও। রাজ যাতে ভবিষ্যতে ফুটবল খেলে জেলা তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করেতে পারে তার জন্য সরকারি সাহায্যের আর্জি পরিবার-সহ এলাকাবাসীর।