আরও পড়ুন: পাটিসাপটা তৈরির ঝক্কি শেষ, বাজারে বিক্রি হচ্ছে রেডিমেড নারকোল কোড়া
সুন্দরবনের বাকড়া এলাকায় আজও পৌষ পার্বণের পিঠে তৈরির জন্য চালের গুঁড়ি ভাঙা হয় ঢেঁকিতে। আধুনিক সময়ে যান্ত্রিকতার বেড়াজালে মেশিনের যুগেও ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করার হিড়িক লেগেছে এলাকায়। প্রাচীন সময় থেকে গ্ৰামের লোকের ভরসা ঢেকিতে চাল কুটে পিঠে তৈরি করা। পুরানো ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ যেন রীতিমতো মায়েদের এক অভিনব প্রচেষ্টা। বছর বছর ঢেঁকি ছাঁটা চালের গুঁড়োতেই সেখানে ঘরে ঘরে মহিলাদের হাতের কারুকার্যে তৈরি হয় সরুচাকলি, পাটিসাপটা, দুধপুলি, ভাজা এবং সেদ্ধ পিঠে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
খাদ্য রসিকদের মতে ঢেঁকি ছাঁটা চালের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি পিঠের জুড়ি মেলা ভার। এলাকার মহিলারা রাত-দিন এক করে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করতে ব্যস্ত। কালের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি। তবুও সুন্দরবনের বাঁকড়ার গৌর মণ্ডলের বাড়িতে বছরের এই বিশেষ দিনে মা, কাকিমাদের ছোঁয়ায় ঢেঁকি যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। অনিমা বিশ্বাস, মিলি মণ্ডলের কথায়, ঢেঁকিতে চাল কুটে পিঠের যে স্বাদ তা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। আর এভাবেই বাংলার পুরানো রীতিকেই যেন ধরে রাখছেন তাঁরা।





