শুধু পটে ছবি আঁকা নয়, শিল্পীরা পেয়েছেন রাষ্ট্রপতির থেকে সম্মান। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ছোট্ট এক ছবির গ্রাম পিংলার নয়া। এবার এই গ্রামের প্রায় দশ জন শিল্পীর শিল্প নৈপুণ্য প্রকাশ পাবে দিল্লিতে। আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, ১৫ আগস্ট দিল্লিতে আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য পটশিল্পীদের তৈরি করা পটচিত্র প্রকাশ পাবে।
advertisement
‘জল কত করে? দাও তো!’ চলন্ত ট্রেনে জল কিনলেন কে? পোশাক দেখে চেনা যায়নি, হকার ‘রেট’ বলতেই সর্বনাশ!
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের নয়া গ্রাম, নামটি শুনলেই মনে পড়ে পটচিত্র শিল্পের কথা। এক সময় শুধুমাত্র স্থানীয় মেলা আর গ্রামবাংলার বাড়িতে বাড়িতে পটের গানে সীমাবদ্ধ ছিল এই শিল্প। আজ তা পৌঁছে গেছে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে। নয়া গ্রামের পটশিল্পী আনোয়ার চিত্রকর। তাঁর হাত ধরে পিংলার ঐতিহ্য শুধু রাজ্যের গর্ব নয়, এখন তা ভারতেরও পরিচিতি বহন করছে বিশ্বের দরবারে। দিল্লির এই বিশেষ অনুষ্ঠানে পটচিত্রের মাধ্যমে ভারতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য ভাষ্য তুলে ধরেন আনোয়ার চিত্রকর সহ দশ জন পটশিল্পী।
তাদের তুলিতে জীবন্ত হয়ে উঠেছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, সংস্কৃতি, গ্রামীণ জনজীবন, এবং জাতীয় ঐক্যের গল্প। শুধু শিল্প নয়, সেখানে ছিল গান, কাহিনি, এবং সমাজচেতনার মেলবন্ধন। এই অসাধারণ কীর্তির জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি সম্মানিত করেছেন শিল্পীদের। পটশিল্পী আনোয়ার চিত্রকর তাঁর নিজের আঁকা একটি বিশেষ চিত্র ভারতের রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়েছেন।বাংলার এক লোকশিল্পী রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়া নিঃসন্দেহে বাংলার পটশিল্প ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন!
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড ও ওড়িশা রাজ্যের প্রায় ২৮ জন শিল্পী দেশের রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁদের নিপুন শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলেন। পিংলা থেকে আনোয়ার চিত্রকর সহ মোট ১০জন শিল্পীরা ছিলেন সেই দলে। যারা প্রতিনিধিত্ব করেছেন পশ্চিমবঙ্গের।আজ যখন ডিজিটাল মাধ্যম আর আন্তর্জাতিক শিল্পের প্রতিযোগিতায় লোকশিল্প হারিয়ে যাচ্ছে, তখন আনোয়ার চিত্রকরদের মত শিল্পীরা দেখাচ্ছেন শিকড়ে ফেরার পথ!
রঞ্জন চন্দ