পদত্যাগেও এলাহি জীবন! জগদীপ ধনখড়ের নতুন ঠিকানাই এখন বড় চমক! বাংলো যাপন কতদিন, কী সুবিধা পাবেন ধনখড়? অবিশ্বাস্য!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর জগদীপ ধনখড়কে কেন্দ্রীয় সরকার একটি টাইপ-৮ ক্যাটাগরির বাংলো বরাদ্দ করেছে। এটি সরকারি আবাসনের সর্বোচ্চ স্তরের বাংলোর মধ্যে পড়ে। এই বাংলো কারা পায় কেন পায়? জেনে নিন বিশদে।
advertisement
advertisement
টাইপ-৮ বাংলো কী? টাইপ-৮ বাংলো হল কেন্দ্র সরকারের সর্বোচ্চ মানের আবাসনগুলোর একটি। এই ধরনের বাংলো বরাদ্দ করা হয় শুধু বাছাই করা ব্যক্তি বা পদাধিকারীদের জন্য। উদাহরণস্বরূপ: গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এমনকি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের জন্যও এই টাইপের বাংলো বরাদ্দ হয়।
advertisement
advertisement
advertisement
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি কতদিন বাংলোতে থাকতে পারেন? উপরাষ্ট্রপতির পদ ছাড়ার পর স্থায়ীভাবে বাংলো থাকার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে সরকারের অনুমতির উপর নির্ভর করে উদাহরণ: ভেঙ্কাইয়া নাইডু উপরাষ্ট্রপতির পদ ছাড়ার পর টাইপ-৮ বাংলো পেয়েছিলেন, তবে তাঁকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা ছাড়তে হয়। <strong data-start="1782" data-end="1857">অর্থাৎ, এই বিষয়ে কোনও স্থায়ী নিয়ম নেই—কেস টু কেস ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়। </strong>
advertisement
advertisement
advertisement
এমপি বা মন্ত্রীরা কবে বাংলো ছাড়েন? সাংসদ, মন্ত্রী অথবা অন্যান্য সরকারি পদাধিকারীরা তাঁদের কার্যকাল শেষ হওয়ার ১ মাসের মধ্যেই বরাদ্দকৃত সরকারি বাংলো খালি করে দেন—এটাই নিয়ম। এই সময়সীমা না মানলে তাঁদের বাজার মূল্যে ভাড়া দিতে হয়। এছাড়াও, সংশোধিত আইন অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে ৩ দিনের নোটিশে উচ্ছেদ সম্ভব।
advertisement
জগদীপ ধনখড়কে টাইপ-৮ বাংলো দেওয়া হয়েছে সরকারী বিবেচনায়, এবং এটি স্থায়ী নয়। যদি তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হয় বা কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ অনুমতি দেয়, তাহলে তিনি কিছু সময় সেই বাংলোতে থাকতে পারবেন। তবে নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করলে তাঁকে বা অন্যদের মতোই বাজারদরের হারে ভাড়া গুনতে হবে, কিংবা উচ্ছেদের মুখোমুখি হতে হতে পারে।
advertisement
পদ ছাড়ার পরেও জগদীপ ধনখড় পেনশনের অধিকারী হবেন। সেই সঙ্গে তিনি কিছু নির্দিষ্ট সরকারি সুবিধাও পেতে থাকবেন, যা পদত্যাগের পরেও চালু থাকবে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও উপ-রাষ্ট্রপতি যদি তাঁদের কার্যকালের দু’বছরের বেশি সময় দায়িত্বে থাকেন এবং তারপর পদত্যাগ করেন, তাহলে তিনি উপ-রাষ্ট্রপতির পদসংশ্লিষ্ট পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবেন। ২০১৮ সালের বাজেটের সময় ঠিক হয়েছিল, উপ-রাষ্ট্রপতির বার্ষিক বেতন ৪৮ লক্ষ টাকা। সেই হিসেব অনুযায়ী, জগদীপ ধনখড় প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের পেনশন পাবেন।