এখন শংকর বাবু এবং তাঁর ছেলেরাও এই কাজ করছেন। বাড়ির সকলেই বাঁশি তৈরির সঙ্গেই যুক্ত। একটা বাঁশি তৈরি করতে অনেক ক্ষণ সময় লাগে। বাঁশ কেটে সাইজ করা, ডাইস করা বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে। মোটামুটি যদি একটা বাঁশি তৈরি করা হয়, কমপক্ষে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে।
শংকরে কাছে ১৫ টাকা থেকে শুরু করে পাওয়া যাবে ১৫ হাজার টাকা দামের বাঁশিও। যার মধ্যে থাকবে বিভিন্ন ধরনের বাঁশি, যেমন স্কেলের বাঁশি, সোজা বাঁশি এবং বাচ্চাদের জন্য অন্য ধরনের বাঁশি। শংকরের কথায়, বাঁশের দাম অনুযায়ী নির্ধারিত হয় বাঁশির দাম। ইতিমধ্যেই শংকরের তৈরি এই বাঁশি পাড়ি দিয়েছে বিদেশের মাটিতেও। জাপান, আমেরিকা-সহ আরও বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছে শংকর তৈরি বাঁশি। শংকর কলকাতার ভবানীপুরে আগে বাঁশি বিক্রি করতেন।
advertisement
সেখান থেকেই বাঁশি বিদেশে গিয়েছে বলে জানান শংকর। তাঁর কথায়, বাঁশিই হচ্ছে তাদের একমাত্র ব্যবসা। এটাই তাদের কাছে সব, এর উপরেই তারা নির্ভর করে রয়েছেন। বাঁশি তৈরি করেই অর্থ উপার্জন করেন। বর্তমানে শংকর মালের তৈরি বাঁশি যেন ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছে যাচ্ছে বিদেশেও।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী