কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে নিরন্তর বর্ষণ আর ইছামতি সহ একাধিক নদীর জলবৃদ্ধি যেন ভয়াবহ আঘাত হেনেছে কৃষিজমিতে। বন্যার জলের প্রভাবে চাষের জমি তলিয়ে যাওয়ায় ফুল চাষে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিশেষ করে স্বরূপনগরের গাঁদা ফুলের ক্ষেতগুলিতে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে সরকারি স্কুলের তুলনা! বিরাট আয়োজন শুশুনিয়ায়, পাহাড়ের কোলের পুরো গল্প না জানলে মিস
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার কৃষকদের অভিযোগ, অনেক জমিতে তাজা গাছে সবে ফুল আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেই সময় থেকেই টানা বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে ক্ষেতের গোড়ায় জল জমে গাছ পচে ও শুকিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন চাষের খরচ উঠে আসছে না, তেমনই নষ্ট হচ্ছে কৃষকদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় অনেক কৃষকদের আশঙ্কা, যদি দ্রুত আবহাওয়া স্বাভাবিক না হয় এবং জমির জল নেমে না যায়, তবে আসন্ন উৎসবের মরশুমে ফুলের যোগান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ফুল ব্যবসায়ীরাও, আর সবচেয়ে বড় আঘাত আসবে সাধারণ মানুষের পকেটের উপর। অতএব, স্বরূপনগরের ফুল চাষিদের মুখে এখন একটাই প্রশ্ন— কবে মুক্তি মিলবে এই জলবদ্ধতা ও ক্ষতির চক্র থেকে?