কেলেঘাই নদীর জলের স্তর বাড়ায়, জলের স্রোত বইছে পটাশপুর বালিচক রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে। পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের নৈপুর লক্ষীবাজার থেকে প্রায় দেড়শ মিটার পটাশপুর-বালিচক রাজ্য সড়কের ওপর এক হাঁটু জল। বাস লরি ও বড় বড় গাড়ি চলাচল করলেও প্রায় বন্ধ ছোট ছোট গাড়ি চলাচল। গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে জলের স্রোত বয়ে চলায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির জলে বন্যা পরিস্থিতি, বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে নদীর জল। সমস্ত রকম পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসন।
advertisement
পটাশপুর ১ নং ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম জলবন্দী। রাস্তাঘাট চলে গেছে জলের তলায়। ডুবে গেছে বহু পুকুর। ক্ষতিগ্রস্ত বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে অন্যের বাড়িতে বা উঁচু জায়গায়। প্রশাসনের তরফে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবির। নদী বাঁধ না ভাঙলেও বৃষ্টির জলে বন্যা পরিস্থিতি উস্কে দিচ্ছে ২০২১ সালের স্মৃতি। আর সেই কারণেই পটাশপুরের সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক গ্রাস করেছে। এদিন সকাল থেকে বৃষ্টির দেখা নেই মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিলেছে। কিন্তু তা সত্বেও এই বন্যা পরিস্থিতি মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Durgapur Barrage: ভয়াল রূপ নিয়েছে দামোদর! জলাধারগুলিতে জলের গতি দেখে আতঙ্কে স্থানীয়রা
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল পটাশপুর ১ ও ভগবানপুর ১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। ২০২৩ সালেও নিম্নচাপের বৃষ্টির কারণে একাধিক জলধার থেকে জল ছাড়ায় চরমসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। লাগাতার বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকা। প্রশাসন সূত্রের খবর কেলেঘাই নদীর জলের স্তর নতুন করে বৃদ্ধি পায়নি। প্রবল বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকে গেছে। তাদেরকে উদ্ধার করে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সাধারণ প্রশাসন ও সেচ দফতর পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।
Saikat Shee