ইয়াস থেকে আম্ফান, একের পর এক ঘূর্ণিঝড়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধাক্কায় নয়াচরে মাছ চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রীতিমতো ধরাশায়ী অবস্থা নয়াচরের মাছ চাষীদের। বিভিন্ন ভাবে দেনাগ্রস্থ হয়েছেন তাঁরা। 'মহাজন'- দের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে পারেননি তাঁরা। একদিকে ঋণের বোঝা, সঙ্গে যন্ত্রচালিত মেশিন নামিয়ে মাছ চাষের ভেড়ি খনন করতে গেলে পুলিশি বাধায় নাকাল হতে হচ্ছে নয়াচরের মৎস্যজীবীদের।
advertisement
আরও পড়ুন: দিনের বেলাতেই ভয়ে কাঁপছে ঝাড়গ্রাম, রাতে কী হবে? আশঙ্কা বাড়ছে ক্রমশ
চাপে পড়ে মাছ চাষ প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়। দিশেহারা অবস্থা মাছ চাষীদের। বন্ধ রুজি রোজগার। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সকলে। কারণ নয়াচরে মাছ চাষ ছাড়া আয়ের অন্য কোন রাস্তাই নেই। উপায় না দেখে স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন করে জেলা শাসকের কাছে দরবার করলেন দ্বীপগ্রামের মাছ চাষীরা। আজ, শুক্রবার তাঁরা লিখিতভাবেই জেলাশাসককে জানান, হয় তাদের মাছ চাষের জন্য সহযোগিতা করুক প্রশাসন, নয়ত তাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিক প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় শেষ মুকুল রায়ের বিধায়ক পদের শুনানি, এবার যা হতে চলেছে...
গোটা ঘটনায় এলাকাজুড়ে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্য সরকার যেখানে নয়াচরে শিল্পের বিকাশ ঘটাতে চাইছে, নয়াচরে ইকোটুরিজম, মৎস্যহাব সহ একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের চিন্তাভাবনা করছে, রাজ্য আধিকারিকরা নয়াচরে গিয়ে জায়গা পরিদর্শন ও এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারই মাঝে এই ধরনের ঘটনা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।